আবার আলোচনায় মোস্তাফিজ!
একটা সময় ছিল টেস্ট খেলা নিয়ে সাকিব কাণ্ড। এখন সাকিব কাণ্ডের আপাতত সমাপ্তি ঘটেছে। সুবোধ বালকের মতো সাকিব টেস্ট খেলছেন। করোনা মুক্ত হয়েই তিনি সরাসরি চট্টগ্রামে গিয়ে টেস্ট খেলেছেন। এবারের সাকিবের জায়গা দখল করে নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তারও সাকিবের মতো টেস্ট খেলা নিয়ে এলার্জি আছে। তবে সাকিবের মতো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। কিংবা আইপিএল বা ফ্রাঞ্চাইজি বা ব্যক্তিগত অন্য কোনো কারণে নয়। নিছক ওয়ার্কলোড কমাতে বা নিজে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করাতে। যে কারণে বিসিবির পক্ষ থেকে ক্রিকেটাররা কে কোন ফরম্যাটে খেলবেন এ রকম অপশন দেওয়া হলে মোস্তাফিজ টেস্ট ক্রিকেটের ঘরে না লিখে দেন। কিন্তু সাকিব আবার হ্যাঁ লিখেন। সাকিব হ্যাঁ লেখার পরও টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে টালবাহানা করেন। কিন্তু মোস্তাফিজ সরাসারি ঘোষণা দিয়েই টেস্ট খেলছেন না। এটা আইপিএলে খেলার কারণে নয়। কিন্তু তিনি ঘোষণা দেওয়ার পরও তাকে টেস্ট খেলানোর জন্য বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কা সিরিজে দলের একাধিক পেসার ইনজুরিতে পড়লে প্রথমে মোস্তাফিজের বিষয়টি আলোচনায় আসে। কিন্তু মোস্তাফিজকে আইপিএলের পুরো মৌসুমের জন্য বিসিবি ছাড়পত্র দেওয়াতে তাকে দলে পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। এ নিয়ে জল অনেক ঘোলা হয়। পরে মোস্তাফিজের চ্যাপ্টার শেষ হয়। শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দল ঘোষণায় ছিলেন না মোস্তাফিজ। কিন্তু ২৩ মে ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দল ঘোষণা করতে না করতেই আবার টেস্ট খেলার আলোচনায় মোস্তাফিজ। এবার উইন্ডিজ সফরে।
এবারের উইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে। যেখানে আছে দুইটি টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ। সিরিজ শুরু হবে ১৬ জুন টেস্ট দিয়ে। মোস্তাফিজ এবার আলোচনায় আসার কারণ হলো আবারও একাধিক ক্রিকেটারের ইনজুরি। তাসিকনতো দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই আছেন ইনজুরিতে।সেই সফরে আরেক ইনুজরিতে পড়া পেসার শরিফুল সুস্থ হয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট খেলার সময় আবারও ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেছেন ঢাকা টেস্ট থেকে। তাকে সুস্থ হয়ে উঠতে পাঁচ সপ্তাহ লাগবে বলে বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে। তার মানে উইন্ডিজ সফরে তাকে পাওয়া গেলেও টেস্ট সিরিজে পাওয়া যাবে না। যে কারণে মোস্তাফিজের নাম আবার আলোচনায়। আজ চট্টগ্রামে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোস্তাফিজের সঙ্গে আগামী সিরিজ নিয়ে আমার কথা হয়েছে। নির্বাচক প্যানেল থেকে রটিন ডিসকাশন। ঢাকায় গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল তৈরি করব। তখন এসব নিয়ে আলোচনা করব। মোস্তাফিজকে টেস্ট দলে অবশ্যই প্রত্যাশা করি। খেলোয়াড়দের সেরা মুহূর্তে দলে অবশ্যই দরকার। যদি দরকার হয় অবশ্যই ওকে ডাকা হবে। অবশ্যই এ নিয়ে আলোচনা করব।’
চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ। ২৩ মে শুরু হবে মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্ট। চট্টগ্রাম থেকে সবাই ফিরবেন ঢাকাতে। প্রধান নির্বাচক জানালেন ঢাকায় ফিরেই দুয়েক দিনের মধ্যেই তারা উইন্ডিজ সফরের দল চুড়ান্ত করে ফেলবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় গিয়ে আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দল প্রস্তুত করব। সময় হলে আপনারা পেয়ে যাবেন। এখানে কিছু লজিস্টিক কাজ আছে। তাই দেরি হচ্ছে। সভাপতির অনুমোদন পেলে আমরা এটি দিয়ে দেব।’
তাসকিন ও শরিফুলকে উইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলে না পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমাদের কাছে যতটুকু তথ্য আছে, আমরা তাসকিনকে হয়তো টেস্টে পাচ্ছি না। সাদা বলের সিরিজে হয়তো পেতে পারি। তারপরও ২১ তারিখ মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট থেকে ফিজিওর রিপোর্ট পাব। তখন আপনাদের আপডেটটা দিতে পারব। শরিফুলকে টেস্টে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই, ওকে আমরা হয়তো সাদা বলে পেতে পারি। তারপরও পুরোপুরি আপডেট আগামী সপ্তাহে পাব।’
এমপি/এমএমএ/