চট্টগ্রাম টেস্টের টুকিটাকি, চতুর্থ দিন
কার্বন কপি না কাকতলীয়
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন বাংলাদেশ প্রথম শেসনে কোনো উইকেট না হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্রুতই হারায় তিন উইকেট। যার দুইটিই নিয়েছিলেন ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে যাওয়া পেসার বিশ্ব ফার্নান্ডোরে পরিবর্তে কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা পেসার কাসুন রাজিথা। এই শেসনে বাংলাদেশ উইকেটচ হারিয়েছিল তিনটি। আজ চতুর্থ দিনও বাংলাদেশ প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি। কিন্তু দ্বিতীয় শেসনে উইকেট হারায় তিনটি। যার দুইটিই নেন কনকাসন সাব কাসুন রাজিথা। আগের দিন তিনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকটে নিয়েছিলেন। আজ নেন প্রথম দুইটি।
এবার সাকিবের হেলম্যাটে বলের আঘাত
দ্বিতীয় দিন শরিফুলের করা বল বিশ্ব ফার্নান্ডোর হেলম্যাটে গিয়ে আঘাত করেছিল। আঘাত গুরুত্ব না হওয়াকে বিশ্ব ফার্নান্ডো খেলে যান। তবে চা বিরতির পর তিনি বিশ্রাম নিয়েছিলেন। পরে আবার ব্যাট করতে নেমেছিলেন। দল অলআউট হওয়ার পর তিনি চার ওভার বোলিংও করেন। এমন কি তৃতীয় দিন সকালেও তিনি আরো চার ওভার বোলিং করেন। কিন্তু এরপর তিনি অসুস্থবোধ করলে পরে মাঠ ছেড়ে বেরহয়ে যান। পরে ম্যাচ থেকেও। তার পরিবর্তে কনকাসন সাব হিসেবে খেলছেন কাসুন রাজিথা। এদিকে আজ সাকিবের হেলম্যাটেও বলের আঘাত লেগেছিল। কিন্তু আঘাত গুরুত্বর না হওয়াতে তিনি খেলা চালিয়ে যান। তার আগে মাঠে এসে চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষন করে যান। পরে সাকিব আউট হন ২৬ রানে।
পেটের পীড়ায় আম্পায়ারের মাঠ ত্যাগ
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সিরিজে মাঠ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। প্রথমে মাঠ ছাড়েন শ্রীলঙ্কার বিশ্ব ফর্নান্ডো। দ্বিতীয় দিন শরিফুলের বল তার হেলম্যাটে লেগেছিল। কিন্তু তিনি অসুস্থ বোধ করাতে মাঠ ছেড়েছিলেন তৃতীয় দিন প্রথম শেসনে। একই দিন চা বিরতির মাসুলপুল হওয়াতে আর ব্যাট করতে নামেননি তামিম ইকবাল। তখন তিনি ১৩৩ রানে অপরাজিত। এবার মাঠ ছাড়ার দলে যোগ দেন কোনো ক্রিকেটার নন, আম্পায়ার। ইনিংসের ১৩৯ নম্বারে ওভারে আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো হঠাৎ করেই মাঠ ছেড়ে চলে যান। তার পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করতে আসেন তৃতয়ি আম্পায়ার জো উইলসন। মাঠে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের শরফউদ্দৌল্লাহ ইবনে সৈকত। পরে জানা গেছে পেটের পীড়ার কারণে কেটেলবরো এভাবে মাঠ ছেড়ে চলে যান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে পঞ্চম সেরা
তামিম ইকবাল ও মাহমদুল হাসান জয় ১৬২ রান করে প্রথম উইকেট জুটিতে চতুর্থ সেরা জুটি গড়েছিলেন। এবার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৬৫ রান করে গড়েছেন পঞ্চম সেরা জুটি। তাদের সামনে আছে যথাক্রমে ২৬৬, ২২২, ১৮০ ও ১৬৭ রানের জুটি। এই চার জুটির তিনটিতে মুমিনুল হক ও দুইটিতেই আছেন মুশফিকুর রহিম। ২০১৮ সালে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৬৬ রানের জুটিতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গি ছিলেন মুমিনুল হক। দুই বছরপর একই দলের বিপক্ষে একই ভেন্যুতে একই জুটি করেছিলেন ২২২ রান। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে মুমিনুল ও লিটন দাস করেছিলেন ১৮০ রান। ২০১২ সালে মিরপুরেই উইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও নাঈম ইসলাম মিলে করেছিলেন ১৬৭ রান। প্রথম উইকেট জুটিতে তামিম ইকবাল (১৩৩) সেঞ্চুরি করলেও মাহমুদুল হাসান জয় পারেননি। আউট হয়ে যান ৫৮ রানে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি করে আউট হন ১০৫ রানে। লিটন দাস বঞ্চিত হন ৮৮ রানে আউট হয়ে।
এমপি/এএজেড