সাকিবের জোড়া আঘাতের পরই চীনের প্রাচীর!
লাঞ্চের ঠিক আগেই নাঈম হাসানের এক ওভারে জোড়া আঘাতের পর অনেকটা স্বস্তি নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। আবার লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে এবার সাকিব আবার আঘাত হানলে লঙ্কানদের ইনিংসে ধুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। রমেশ মেন্ডিসের গ্যাঁম্প উপড়ে ফেলার পর ল্যাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে গোল্ডেন ডাক মারান এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে।
লাঞ্চের আগে-পরে হিসেব করলে ২১ বলে নয় রানের ব্যবধানে চার উইকেট-ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে এ এক বিরাট প্রাপ্তি। চার উইকেটে ৩১০ থেকে আট উইকেটে ৩২৮ রান। একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান ম্যাথিউস ছাড়া বাকিরা আসা-যাওয়ার পথিক মাত্র।
একদিকে ডান হাতি নাঈম, অপরদিকে বাঁহাতি সাকিব-ডান আর বামের এই খেলাতে কতক্ষণ আর টিকে থাকা সম্ভব। বাংলাদেশ দল মনে মনে ব্যাটিংয়ের নামার প্রস্তুতি নিতেও শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু কোথায় কী? বিশ্ব ফার্নান্ডোকে নিয়ে ম্যাথিউস প্রতিরোধের চীনের দেয়াল হয়ে উঠেন। রান করার চেয়ে তারা টিকে থাকার দিকে মনযোগী হয়ে উঠেন। তাদের এ রকম মনযোগী মনোভাবের কারণে বাংলাদেশের বোলারদের হাপিত্যেশ বাড়তে থাকে। ছড়াতে থাকে হতাশা। আর ছড়াবেই বা না কেন? রানও করবে না আবার আউটও হচ্ছে না। এভাবে কতক্ষণ আর পারা যায়? তা কেমন তারা প্রতিরোধের দেয়াল তুলে বাংলাদেশের বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছেন? ১১৬.৩ ওভারে দুই ব্যাটসম্যান জুটি বাঁধার পর তারা খেলেন ২৩.৩ ওভার রান করেন ৪৭। এই সেশনে রান উঠে ২৪ ওভারে দুই উইকেটে মাত্র ৪৮।
বাংলাদেশের বোলারদের বেশি ভুগিয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্ডো। তিনি ৭৭ বল খেলে রান করে ১৭। রান যা আসে তা ম্যাথিউসের ব্যাট থেকেই। দুই জনে জুটি বাঁধার সময় ম্যাথিউসের রান ছিল ২৮৯ বলে ১৪৮। এর পর তিনি ৬৪ বলে খেলে যোগ করেন ৩০ রান। এ সময় দুই ব্যাটসম্যান মিলে ১৪৬টি ডট বল দেন। বাউন্ডারি ছিল তিনটি। কাকতলীয়ভাবে তিনটি বাউন্ডারি আসে বিশ্ব ফার্নান্ডোর ব্যাট থেকেই।
এই জুটি ভািঙ্গতে মাঝে একবার রিভিউও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো ফায়দা হয়নি। সাকিবের করা ইনিংসের ১২১তম ওভারে বিশ্ব ফার্নান্ডোর বিপক্ষে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করা হয়। আম্পায়ার সাড়া না দিলে সাকিবের চাওয়াতে অধিনায়ক মুমিনুল রিভিউ নেন। কিন্তু তাতে দেখা যায় বল স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে চলে গেছে। ফলে বাংলাদেশ হারায় শেষ রিভিউ। ম্যাথিউস ১৭৮ ও বিশ্ব ফার্নান্ডো ১৭ রান নিয়ে চা বিরতির পর আবার ব্যাট করতে নামবেন
এমপি/এমএমএ/