সাকিবকে নিয়েই চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের সেরা একাদশ
সাকিব আল হাসান যেকোনো দলের জন্যই অমূল্য এক সম্পদ। একের ভেতর দুই। ব্যাটিং-বোলিংয়ে সমানভাবে দক্ষ। তাকে না পাওয়া মানে আকাশের মেঘ কালো হয়ে আসা। দুই জনকে দিয়ে জায়গা পূরণ। পরিকল্পনায় আনতে হয় অনেক পরিবর্তন।
সেই সাকিব বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য আকাশের চাঁদ হয়ে উঠেন। তাকে পাওয়া যেন পরম সৌভাগ্যের বিষয়। যখনই বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ আসে, তখনই কোনো না কোনো সমস্যা এসে তার খেলার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সেটা কখনো নিজের কারণে কখনো পরিবারের সদস্যদের কারনে।
এবার যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে আসেন, সেটি ছিল আনন্দের। কিন্তু তা ক্ষণিকের। করোনা টেস্টে তার পজেটিভ আসে। ফলে ছিটকে পড়েন প্রথম টেস্ট থেকে। সেই সাকিব দ্রুততম সময়ে করোনা মুক্ত হয়ে উঠেন। ফলে আবার সম্ভাবনা জাগে তার প্রথম টেস্ট খেলার।
শুক্রবার সকালে এই খবর ছিল বাংলাদেশের শিবিরের জন্য আনন্দের। কিন্তু চাইলেইতো আর হবে না। তারজন্য তাই শারীরিকভাবে ফিট থাকা। এখানে আবার সাকিবের খেলা নিয়ে সৃষ্টি হয় ধুয়ালা। এই কথার পালে আবার হাওয়া লাগে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কথায়। দুই জনেই সাকিবের ফিট থাকার উপর জোর দেন। ফলে দিনটি ছিল আনন্দ-বেদনার মিশ্র অনুভুতি সম্পন্ন।
সেই মিশ্র অনুভূতি দূর হয়ে যায় কিংআ আকাশের কালো মেঘ কেটে যায় আজ শনিবার সকালেই, যখন সাকিব ব্যাট হাতে অনুশীলনে নেমে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করে যান। নেটে পেস বোলারদের খেলেছেন অনায়েসে। আর স্পিনের বিপক্ষে ছিলেন আক্রমণাত্বক। যা দেখে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো খুবই উচ্ছ্বসিত। অধিনায়ক মুমিনের কথায় ছিল খেলার ব্যাপারে সবুজ সংকেত।
আজ চট্টগ্রামে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল বলেন, ‘দেখে (সাকিব) তো মনে হল ফিট আছেন। খেলবেন ইনশাআল্লাহ্। অনুশীলনে বেশ ভালোই দেখলাম। কোচ তো বলেই দিয়েছেন ফিট হলে খেলবেন। দেখে মনে হল উনি ফিট। একটা খেলোয়াড়ের ব্যাটিং দেখলেই তার সাইকোলজি অনেক কিছু বোঝা যায়। আপনারাই মনে হয় আমার থেকে বেশি দেখেছেন। আমি তো আমার ব্যাটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আপনারা ভালো দেখেছেন। বুঝতে পারবেন। উনি শতভাগ ফিট। খেলার জন্য ফিট, যেটা আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে।’
সাকিব আজ শুধু ব্যাটিংই অনুশীলন করেছেন। সময়ের হিসেবে ২৫ মিনিট। করেননি বোলিং অনুশীলন। এমনকি ফিল্ডিংও। শুধুমাত্র ২৫ মিনিটের ব্যাটিং অনুশীলন দেখেই কী একজন খেলোয়াড়কে টেস্ট ক্রিকেট খেলার মতো ফিট মনে হয়। সাকিবের প্রতি আত্মবিশ্বাসসী মুমিনুল বলেন, ‘আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে, সাকিব ভাই সাইকোলজি অনেক স্ট্রং। উনি যদি চান খেলতে পারবেন। আপনারও জানেন। আমার কাছে সাকিব ভাইকে নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
সাকিবে খেলাতে অভিষেকের পর পাঁচ টেস্ট খেলা ইয়াসির আলী রাব্বি বাদ পড়তে যাচ্ছেন। তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিবের অনুপস্থিতিতে। ফলে তার বাদ পড়াটা ছিল অবধারিত। পাঁচ টেস্ট খেলে একটি হাফ সেঞ্চুরিতে তিনি রান করেছেন ১৯৫।
এমপি/এমএমএ/