সাকিব না খেললে মোসাদ্দেক, ইয়াসির আউট
সাকিব আল হাসানের টেস্ট খেলার প্রতি অনাগ্রহতা ইয়াসির আলীর জন্য ভাগ্যের দরজা খুলে দিয়েছিল। অভিষেক হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে। এখন পর্যন্ত খেলে ফেলেছেন পাঁচটি টেস্ট। সাতে ব্যাট করে আছে একটি হাফ সেঞ্চুরি। মোট রান করেছেন ১৯৫। সাকিবের পরিবর্তে খেললেও বল হাতে আবার তিনি নিস্ফল। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের একটিতেও বল হাতে তুলে নেননি। তাই সাকিবের পরিবর্তে খেললেও তাতে আর সাকিবের শূন্যস্থান পূরণ হয়নি। সেজন্য সাকিব ফিরে এলে অবধারিতভাবে ইয়াসির আলী বাদ পড়বেন। এটাই স্বাভাবিক।
করোনা নেগেটিভ হওয়াতে সাকিবের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার একটা সম্ভাবনা আছে। যদিও সেখানে ধোঁয়াশাই বেশি। সাকিব খেললে এক রকম, আর না খেললে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো প্লান ‘বি’ করে রেখেছেন। স্বাভাবিক ভাবে এই প্লান ‘বি’ মানেই ইয়াসির আলীর খেলার কথা। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে সে রকমটি হচ্ছে না। সাকিব না খেললে তার পরিবর্তে খেলতে দেখা যাবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। তার মানে সাকিব খেলুক, বা না খেলুক চট্টগ্রাম টেস্টে ইয়াসির আলী বাদ পড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
কেন ইয়াসির আলী বাদ পড়ছেন? সাতে ব্যাট করে তার ব্যাটিং একেবারে মন্দ ছিল না। অন্তত বাদ পড়ার মতো ব্যটিং নয়। তারপরও তিনি বাদ পড়তে যাচ্ছেন। তার এই বাদ পড়া কম্বিনেশনের কারণে। কারণ সাকিবের বিকল্প নেই। তারপরও তার আশে-পাশে অন্তত কেউ থাকে সে রকমই একজনকে খুঁজতে গিয়ে মোসাদ্দেকের সন্ধান। মোসাদ্দেক নিচের দিকে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও করতে পারেন। যা দিয়ে অন্তত দলের কিছুটা হলেও উপকার হবে। কারণ সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলকে চার বোলার নিয়ে খেলতে হয়েছে। এমন কি মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টও। আবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাজেভাবে হারলেও স্বাগতিকদের দুই দুইবার অলআউট করেছিল।
কোচ রাসেল ডমিঙ্গো চান অন্তত এখনে যদি কেউ বল হাতে দলকে ভালো একটা সাপোর্ট দিতে পারে, তাহলে তা দলের জন্য অনেক মঙ্গলজনক হবে। এবার নেই আবার মেহেদি হাসান মিরাজও। ফলে অফ স্পিনের ঘাটতিও থেকে যাচ্ছে। মোসাদ্দেককে খেলালে কিছুটা হলেও এই ঘাটতি পূরন হবে। ব্যাখ্যা দিয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘ বোলিং করতে পারে এমন কাউকে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এটা আমাদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। যেমন আমাদের ইয়াসির আলী রাব্বী আছে। যে কিনা দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন যে কিনা ১৫-২০ ওভার বোলিং করতে পারে। মুমিনুল আমি নিশ্চিত না যে ও ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে। শান্তও বোলিং করে। ৬-৭ ওভারের বেশি নয়। মোসাদ্দেক আমাদের নির্বাচনের ভাবনায় আছে। সে বোলিং করতে পারে। সাকিব খেলতে না পারলে মোসাদ্দেক খেলার জন্য বিবেচনায় আছে।’
গত দুই বছর সাকিবের মতো না হলেও এমন কাউকে খুঁজছেন ডমিঙ্গো যে কিনা ৬-৭ ব্যাটিংয়ের পাশপাশি ১০-১৫ ওভার বোলিংও করতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা শেষ দুই বছর ৬-৭ নম্বরে ব্যাটিং এবং ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে এমন কাউকে খুঁজছি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে আমরা এখনও এমন কাউকে খুঁজছি। সাকিব থাকলে কাজটা সহজ। কিন্তু সাকিবকে খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না।’
এমপি/আরএ/