সেমিতে জাহানারা-রুমানার দল
মেয়েদের ফেয়ারব্রেক ফ্রাঞ্চাইজি আসরে বাংলাদেশের দুই প্রতিনিধি জাহানার আলম ও রুমানা আহমেদ দুই দলের হয়ে খেললেও লিগ পর্বের শেষ দুইজনেরই দল যেন এক বিন্দুতে এসে মিলে গিয়েছিল। লিগ পর্বের শেষ দিন দুইজনেই নিজ নিজ দলের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেন। দুইজনের দলই জাহানারার ফ্যালকন ও রুমানার বার্মি আর্মি শেষ ম্যাচের আগেই সেমিতে খেলা নিশ্চিত করে। যে কারণে দুই দলের জন্যই শেষ ম্যাচ ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতা আর পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান নির্ণয় করা।
সেটি নির্ণয় হয়েছে রুমানার দল ১১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও জাহানারার দল ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ হয়ে সেমিতে উঠে। কিন্তু এই স্থান নির্ধারণ করতে গিয়ে দুইজনের দলই শেষ ম্যাচ হেরেছে। জাহানারার দল হেরেছে ৭ উইকেটে টর্নেডোজের কাছে আর রুমানার দল ৫৪ রানে ওয়ারিয়ার্সের কাছে। হেরেও জাহানারা-রুমানা সেমিতে যেতে পারলেও তাদের হারানো দুই প্রতিপক্ষের এক দল কিন্তু আবার সেমিতে যেতে পারেনি। জাহানারাদের হারিয়েই টর্নেডোজ সেমিতে জায়গা করে নেয়। কিন্তু রুমানাদের হারিয়ে ওয়ারিয়ার্সর আর সেমিতে জায়গা করে নিতে পারেনি। ৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা ছয় দলের আসরে সবার নিচে অবস্থান করছে। স্প্রিট ওমেন ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে থেকে সেমিতে জায়গা করে নেয়। টর্নেডোজ ১১ পয়েন্ট নিয়ে তিন থেকে উঠেছে সেমিতে। আসরের অপর দল শাপিয়ার্স ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে।
দুইটি সেমি ফাইনালই অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার। তবে জাহানারা-রুমানার দেখা হচ্ছে না সেমিতে। দুইজনের দল জিতলে তবেই ফাইনালে দেখা হবে। প্রথমে সেমিতে খেলবে জাহানারা ফ্যালকন ও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা স্প্রিট ওমেন। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। দ্বিতীয় সেমিতে রুমানার বার্মি আর্মির প্রতিপক্ষ টর্নেডোজ ওমেন। এই খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।
রুমানা-জাহানারা দুইজনেই নিজ নিজ দলের হয়ে সব কয়টি (পাঁচটি করে) ম্যাচই খেলেছেন। কিন্তু কেউই সেভাবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। রুমানা কিছুটা পারলেও জাহানারা ছিলেন বেশ পিছিয়ে। রুমানা ৫ ম্যাচের ২টি ব্যাট করে ২৭ রান করেন। যেখানে শেষ ম্যাচেই তিনি করেন অপরাজিত ২৬ রান। বল হাতে ১৬ ওভার বোলিং করে ৯৭ রানে নেন ৪ উইকেট। দলের হয়ে তিনিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এক ম্যাচেই শাপিয়ার্সের বিপক্ষে ছল তার ২২ রানে ৩ উইকেট। অপরদিকে জাহানারা ২ ম্যাচেই ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে রান করেন ১। তবে প্রতি ম্যাচেই বোলিং করেছেন। শুধু শেষ ম্যাচ ব্যতীত বাকি সব ম্যাচেই তিনি ৪ ওভারের বোলিং কোটা পূরণ করেন। সব মিলিয়ে তিনি ১৮ ওভার বোলিং করে ১৪৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। উইকেট কম পেলেও দলের হয়ে জাহানারাই সবচেয়ে বেশি ওভার বোলিং করেন।
এমপি/এসএন