শেষ ম্যাচে হারতে হলো রুমানার দলকেও
জাহানারার দল ফ্যালকন ওমেনের মতো রুমানার বার্মি আর্মি ওমেন দলও এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ চারে নাম লিখিয়েছিল। আবার জাহানারার দলের মতোই রুমানার দলও শেষ ম্যাচে হেরেছে। তবে জাহানারাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে টর্নেডোজ ওমেন ১১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে শেষ চারে নাম লেখাতে পারলেও রুমানার বার্মি আর্মিকে ৫৪ রানে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পায়নি ওয়ারিয়ার্স ওমেন। ছয় দলের আসরে তারা ৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে অবস্থান করছে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে রুমানার দল দ্বিতীয় হয়ে উঠেছে সেমিতে। স্প্রিট ওমেন ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে উপরে থেকে সেমিতে উঠেছে। জাহানারার ফ্যালকন ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে। আসরের অপর দল শাপিয়ার্স ওমেনের পয়েন্ট ৮। সেমি ফাইনালে জাহানারাদের প্রতিপক্ষ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা স্প্রিট ওমেন। রুমানারা খেলবে টর্নেডোজের বিপক্ষে। দুইটি সেমি ফাইনালই অনুষ্ঠিত হবে ১৫ মে। প্রথম সেমি ফাইনাল জাহানারাদের।
বার্মি আর্মি ও ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ দিয় লিগ পর্বের পর্দা নামে। ম্যাচে বার্মি আর্মি হারলেও রুমানা আলো ছড়িয়েছেন। বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পেলেও ব্যাট হাতে ১৯ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
দুবাই আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং করতে নেমে বার্মি আর্মির বোলাররা শুরুতেই চেপে ধরেছিল ওয়ারিয়ার্সের ব্যাটসম্যানদের। ১৮ রানেই তুলে নিয়েছিল ২ উইকেট। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওপেনার হেলি ম্যাথিউস ও মিগনোন ডি প্রেজ জুটি বেঁধে দলকে বিপদমুক্ত করে শক্ত ভিত্তি তৈরি করে দেন। জুটিতে ৯ ওভারে ৭০ রান যোগ হওয়ার পর ম্যাথিউস আউট হয়ে যান ৩৬ বলে ৭ চারে ৫২ রান করে। কিন্তু ডি প্রেজকে আর আউট করা সম্ভব হয়নি। তিনি ৫৪ বলে ৩ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৬। রুমানা ৮, ১১, ১৪ ও ১৮ নম্বার ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন। প্রথম ওভারে তিনি একটি ডট বলসহ ৬ রান দেন। দ্বিতীয় ওভারেও তিনি ৬ রান দেন। তবে কোনো ডট বল ছিল না। তৃতীয় ওভারে তিনি দুইটি বাউন্ডারি হজম করে ১১ রান দেন। এই ওভারে একজন ব্যাটসম্যান রান আউট হন। ডট বল ছিল দুইটি। তার শেষ ওভারে তিন বলে ব্যাটসম্যানরা কোনো রান নিতে পারেননি। বাকি তিন বলে ৪ রান দেন।
জবাব দিতে নেমে রুমানাদের শুরুটা ছিল ওয়াারির্য়াসের চেয়েও বাজে ছিল। ৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ৩১ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট। ফাতিমা সানা হাল ধরে বিপদ এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দলীয় ৫৮ ও ব্যক্তিগত ৩৪ রানে তিনি আউট হয়ে যান। এরপর রুমানা হাল ধরে জয়ের জন্য শেষ চেষ্টা করে যান। কিন্তু অপরপ্রান্তে তাকে কেউ সহায়তা করতে পারেননি। ফলে ২০ ওভার খেলেও বার্মি আর্মি ৮ উইকেটে করে মাত্র ১০২ রান। রুমানা ১৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ও ফতিমা সানা ছাড়া দলের আর কেউ দুই অংকের রান করতে পারেননি।
এমপি/টিটি