শেষ ম্যাচেও জাহানারাদের হার
ফ্রেয়ারব্রেক আমন্ত্রণমূলক ফ্রাঞ্চাইজি আসরে শেষ ম্যাচেও হেরে গেছে জাহানারা আলমের দল ফ্যালকন ওমেন। তবে হারলেও তাদের সেমি ফাইনালে খেলা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) তারা ৭ উইকেটে হেরেছে টর্নেডোজের কাছে। এই জয়ে চর্তুথ দল হিসেবে সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করেছে টর্নেডোজ। সেই সঙ্গে ফ্যালকনকে টপকে তারা তিনে উঠে এসেছে।
আগে ব্যাট করে ফ্যালকন ওমেন ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৮ রান করে। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টর্নেডোজ ৪ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে। আগের ম্যাচগুলোতে জাহানারা খুব একটা ভালো করতে না পারলেও ৪ ওভারের কোটা পূরণ করেছিলেন। কিন্তু এই ম্যাচে তিনি সে সুযোগ পাননি। ২ ওভারে ২৪ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট। পরে অধিনায়ক সুজি বেটিস তাকে দিয়ে আর বোলিং করাননি। ৫ ম্যাচে তিনি উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি।
দুবাই আর্ন্তজাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ফ্যালকন ওমেন অধিনায়ক সুজি বেটিসের ৩১ বলে অপরাজিত ৪১ রানের সঙ্গে ওপেনার ড্যানি ওয়েটের ২৯ বলে ৩২, মারিকো হিলের ২১ ও প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান চামিরা আত্তাপাত্তুর ২০ রানের সুবাদে ৪ উইকেটে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে।
সেমিতে যেতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না টর্নেডোজের। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার সুফিয়া ডিভাইন ও স্টেরি ক্যালিসই দলকে জয় এনে দেওয়ার পথে ছিলেন। জুটিতে ১১ ওভারে আসে ৯০ রান। দুই জনেই হন হাফ সেঞ্চুরি করে। প্রথমে সুফিয়া ২৯ বলে তিন ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৫২ রান করে রিটায়ার্ড আউট হওয়ার পর ক্যালিস আউট হন ৪৭ বলে আট চারে ৫১ রান করে। এরপর জয়ের বাকি কাজ সারেন রানা মগর (১৮*) ও দিভায়া সেক্সেনা (১৩*)। শুকলা ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
জাহানারা আজ তৃতীয় ও সপ্তম ওভারে বল হাতে নিয়েছিলেন। প্রথম ওভারে তিনি তিনটি বাউন্ডারিসহ ১৪ রান দেন। তিনটি বাউন্ডারিই ছিল সুফিয়া ডিভাইনের ব্যাট থেকে। ওভারে তিনি একটি ডট বল অবশ্য দিয়েছিলেন। পরের ওভারে ২ বাউন্ডারিসহ তিনি ১১ রান দেন। এবার তাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ক্যালিস। ওভারে ডট বল ছিল দুইটি।
এমপি/আরএ/