এবার ইউনাইটেডকে বিদায় করে ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্ট
বার্সেলোনাকে ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় করার পর বেশ ভালো ফর্মে থাকা ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকেও সেমিফাইনাল থেকে বিদায় করেছে জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট।
দুই লেগ মিলিয়ে শ্রেয়তর ৩-১ গোল ব্যবধানে উঠেছে ফাইনালে। প্রথম লেগ শেষে ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল লন্ডনের ক্লাবটি। গত রাতে সে ব্যবধান ঘোচানো তো দূরের কথা, উল্টো গোল খেয়েছে আরও একটি। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ওয়েস্ট হ্যামের।
গোল না করতে পারার হতাশাটা ম্যাচজুড়ে দেখা গেছে ওয়েস্ট হ্যাম খেলোয়াড়-কোচদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে। ম্যাচের ১৯ মিনিটেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন ইংলিশ লেফটব্যাক অ্যারন ক্রেসওয়েল। নরওয়ের উইঙ্গার ইয়েন্স-পিটার হাউগেকে অন্যায়ভাবে আটকাতে গিয়ে বক্সের একটু বাইরে ফাউল করে বসেন ক্রেসওয়েল।
প্রথমে হলুদ কার্ড দেখানো হলেও পরে ভিএআরের সহায়তায় লাল কার্ড দেখিয়ে রেফারি ক্রেসওয়েলকে মাঠ থেকে বের করে দেন। একজন কম নিয়ে খেলা ওয়েস্ট হ্যাম পরে বেশিক্ষণ ফ্রাঙ্কফুর্টের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। আট মিনিট পরই কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার রাফায়েল সান্তোস বোরের গোল দুই লেগ মিলিয়ে ওয়েস্ট হ্যামের সঙ্গে ফ্রাঙ্কফুর্টের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন। এ ব্যবধান আর কমাতে পারেননি ওয়েস্ট হ্যামের খেলোয়াড়েরা।
দলটির কোচ ডেভিড ময়েস সে হতাশায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ফ্রাঙ্কফুর্টের এক বলবয়ের সময় নষ্ট করা দেখে মেজাজ হারান এই স্কটিশ কোচ। বলে লাথি মারেন, যে বল আরেকটু হলে সেই বলবয়ের মাথায় লাগত।
ময়েসের এ মেজাজ হারানো দেখে রেফারি জেসুস গিল মানজানো লাল কার্ড বের করতে দেরি করেননি। এত কিছুর পরও ওয়েস্ট হ্যাম যদি ফাইনালে উঠত, ডাগআউটে দেখা যেত না ময়েসকে। কিন্তু ওয়েস্ট হ্যাম যে ফাইনালেই উঠতে পারল না! বার্সাকে হারানো ফ্রাঙ্কফুর্টই মেতেছে জয়ের আনন্দে।
ম্যাচ শেষে মেজাজ হারানোর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই ম্যানেজার, ‘বলবয়কে লক্ষ্য করে বলে লাথি মারার জন্য আমি দুঃখিত। সে বল দিতে দেরি করছিল, ভলিটা সুন্দরই মেরেছিলাম, কিন্তু ব্যাপারটার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমি ওকে মারিনি। আমার মনে হয়, ওর পাশ দিয়ে বলটা বাঁকিয়ে মেরেছি আমি। ও বলটা আমার হাতে দিতে পারত, কিন্তু সেটা সে করেনি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে ম্যাচটা অনেক বড় ছিল, আমরা জেতার চেষ্টা করছিলাম।’
ক্রেসওয়েলের লাল কার্ড নিয়েও আক্ষেপ ঝরেছে ময়েসের কণ্ঠ থেকে, ‘আমার মনে হয় ম্যাচটা ভালোভাবে পরিচালনা করা হয়নি। আমি ওই ঘটনার পর ফ্রাঙ্কফুর্ট বেঞ্চে সবার কাজ-কারবার দেখে বিরক্ত হয়েছি। সবাই রেফারি সহকারীর সঙ্গে তর্কাতর্কি করছিল। ও রকম আচরণ করা উচিত নয়। আশা করি, আমার বেঞ্চের মানুষেরা কখনো ও রকম করবে না।’
ইউরোপা লিগ ফাইনালে ফ্রাঙ্কফুর্টের মুখোমুখি হবে ময়েসের দেশের ক্লাব রেঞ্জার্স। জার্মান ক্লাব লাইপজিগের বিপক্ষে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারার পরও দ্বিতীয় লেগে গত রাতে ৩-১ গোলে জিতেছে ক্লাবটি।
টিটি/