বারিধারার জালে বসুন্ধরা কিংসের গোল উৎসব
প্রথম পর্ব হার দিয়ে শুরু করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শীর্ষে থেকেই প্রথম পর্ব শেষ করেছিল। আর দ্বিতীয় পর্ব শুরু করেছে উড়ন্তভাবে। প্রথম ম্যাচে স্বাধীনতা সংঘকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুরু করার পর আজ দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তরা বারিধারাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৬-০ গোলে। বড় জয়ে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কিংস। ১৩ ম্যাচে পয়েন্ট ৩২। বারিধারার পয়েন্ট ৮ । তাদের অবস্থান ৯।
নিজেদের ভেনুতে বসুন্ধরা কিংস উভয়ার্ধে ৩টি করে গোল করে। আজকের ম্যাচের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল দেশি খেলোয়াড়দের গোল করা। প্রথম পর্বে অনেকটা আড়ালেই ছিলেন দেশি ফুটবলাররা। আজকের ম্যাচে কিংসের ৬ গোলের ৪টিই (একটি আত্মঘাতি) করেছেন দেশি ফুটবলাররা। গোলের সূচনা করেন বিদেশি ফুটবলার দ্বিতীয় পর্ব থেকে খেলা শুরু করা মিগুয়েল ফেরেইরা। ২৬ মিনিটে তার গোলে এগিয়ে যায় কিংস। ৩০ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন সোহেল রানা। ৩৮ মিনিটে তৃতীয় গোল আসে জাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড নুহা মুরংয়ের মাধ্যমে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে বসুন্ধরা কিংস সহজে গোলের দেখা পাচ্ছিল না। যখন মনে হচ্ছিল খেলায় আর কোনো গোল হবে না। ৩ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে কিংস, তখনই তারা আবার গোল উৎসবে মেতে উঠে। ৮৭ মিনিটে চতুর্থ গোল করার পর ইনজুরির টাইমে আরও ২ গোল করে ব্যবধান ৬-০ করে লিগে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ৮৭ মিনিটে কিংসের গোলটি করেন তৌহিদুর রহমান সবুজ। এরপর ইনজুরির টাইমের তৃতীয় মিনিটে খোকন আত্মঘাতি ও চতুর্থ মিনিটে সুমন রেজা গোল করেন।
মুন্সিগঞ্জ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দিনের অপর ম্যাচে শেখ জামাল ২-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে পরাজিত করে ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে। এক ম্যাচ কম খেলে আবাহনীর পয়েন্ট ২৫। তারা আছে তৃতীয় স্থানে। মুক্তিযোদ্ধা ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে রেলিগেশনের শঙ্কায়। তারা আছে এগরতম স্থানে। এদিন শেখ জামালের হয়ে ২টি গোলই করেন তাদের দুই বিদেশি মুসা নাজরে ও অধিনায়ক সলোমান কিং। ২৮ মিনিটে মুসার গোলে শেখ জামাল এগিয়ে যাওয়ার পর ৬৬ মিনিটে সলোমান কিং ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
এমপি/আরএ/