দক্ষিণ আফ্রিকা থামল ৩৬৭ রানে
দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ উইকেট তুলে নিয়ে মনের সুখে মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। মনের গহীনে লুকিয়ে ছিল মধ্যাহ্নভোজের পর অল্পতেই বাকি দুই উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার লাগাম টেনে ধরে ড্রাইভিং আসনে বসে পড়বে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। কিন্তু সে সুখ শুধু কল্পনাতেই থেকে গেছে। অল্পতে আর অলআউট করা সম্ভব হয়নি। শেষ ৩ ব্যাটসম্যান হার্মার, উইলিয়ামস ও অলিভারের প্রতিরোধে দক্ষিণ আফ্রিকা ভীত মজবুত করে ফেলেছে। অলআউট হয়েছে ৩৬৭ রানে। লাঞ্চের পর ১৬ ওভার খেলে যোগ হয় ৫৩ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিল ৮ উইকেটে ৩১৪ রানে। তাদের অষ্টম উইকেট পড়েছিল ২৯৮ রানে। শেষ তিন ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। নবম উইকেট জুটিতে হার্মার ও উইলিয়ামস ৩৪ এবং দশম উইকেট জুটিতে হার্মার ও অলিভার ৩৫ রান যোগ করেন।
নবম উইকেট জুটি যখন ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল তখন দলীয় ৩২৩ রানে উইলিয়ামসকে শিকার করেন খালেদ। গালিতে অসাধারণ ক্যাচ নেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৩২ বল খেলে উইলিয়ামস করেন ১২ রান। ইনিংসে খালেদের এটি ছিল চতুর্থ উইকেট। আগের ৩ টেস্টে তার উইকেট ছিল মাত্র ১টি। এবার এক ইনিংসেই ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের পেসারদের সেরা বোলিং করার রেকর্ড গড়েন।
৩২৩ রানে নবম উইকেটের পতন হওয়ার পর শেষ উইকেট জুটিতে হার্মার ও অলিভার প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তুলেন। কিছুতেই তাদের আউট করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিপরীতে এই দুই ব্যাটসম্যান ধীরে ধীরে দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য উল্টো চাপ তৈরি করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত জুটি যখন ভাঙে, তখন জুটিতে রান যোগ হয়েছে ৩৫ আর দলের রান ৩৬৭।
মিরাজ এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে অলিভারকে আউট করেন। অলিভার ৩২ বলে ১২ রান করেন। প্রতিরোধের পাহাড় হয়ে থাকা হার্মার ৭৫ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছক্কা।
বাংলাদেশের হয়ে খালেদ ৯২ রানে ৪টি, মিরাজ ৯৪ রানে ৩টি এবং এবাদত ৮৬ রানে ২টি উইকেট।
এমপি/আরএ/