৪ উইকেট নিয়ে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
প্রথম দিন দ্বিতীয় সেশন থেকে বাংলাদেশের বোলাররা বেশ চেপে ধরেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের। সেই চাপকে আরও ঘনীভূত করার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন নতুন বলের। কিন্তু আলোর স্বল্পতার কারণে ৭৬.৫ ওভারে দিনের খেলা থেমে গেলে সেই নতুন বল আর নেওয়া হয়নি। ৮০ ওভার হলে পাওয়া যেত নতুন বল। সেই নতুন বল আসে আজ দ্বিতীয় দিন ৩.১ ওভার পরই। আর সাফল্য পেতেও সময় লাগেনি।
পেসার সৈয়দ খালেদ পরপর ২ বলে ২ উইকেট নিয়ে বেশ ভালোই আঘাত হানেন স্বাগতিকদের শিবিরে। জেগে উঠে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। সেই হ্যাটট্রিক আর হয়নি। তাই বলে দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট পতন থেমে থাকেনি। এবাদত ও মিরাজ উইকেট নেওয়াতে এগিয়ে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস আর পেটমোটা হওয়ার সম্ভাবনা স্তিমিত হয়ে আসে। এই ২ উইকেটও ছিল পরপর ২ বলে। মিরাজের ওভারের শেষ বলে আর এবাদতের ওভারের প্রথম বলে। স্বাগতিকরা লাঞ্চে গিয়েছে ৮ উইকেটে ৩১৪ রানে। এই সেশনে স্বাগতিকরা সংগ্রহ করে ২৭.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৮১ রান। হারমার ৮ ও উইলিয়ামস ৬ রান নিয়ে আবার ব্যাট করতে নামবেন। খালেদ ৮০ রানে ৩টি, এবাদত ৭২ ও মিরাজ ৭৬ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
প্রথম দিন প্রথম সেশনে বাংলাদেশ কোনো উইকটেই নিতে পারেনি। দ্বিতীয় দিন ৪ উইকেট তুলে নিয়ে আপাতত ম্যাচের ড্রাইভিং আসনে বাংলাদেশ। আগের দিন শেষ বিকেলে ২ প্রান্তে ছিলেন মিরাজ ও খালেদ। আজ দিনের শুরুতেও তারা আক্রমণে আসেন। নতুন বল নিয়েই দ্বিতীয় ওভারে খালেদ প্রথমে আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান ভেরাইনাকে এলবিডব্লির ফাঁদে ফেলেন ২৮ রানে। তিনি মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছিলেন। পরের বলে থার্ড স্লিপে মাহমুদুল হাসানের চমৎকার ক্যাচে ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন মুলার। তখন দলের রান যোগ হয়েছে মাত্র ১২। পরপর ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। এই চাপ সামলে উঠার চেষ্টা করেন টেম্বা বাভুমা। সঙ্গে পেয়ে যান কেশব মহারাজকে। দুই জনে চাপ সামলে ধীরে ধীরে দলের রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন। একই সঙ্গে টেম্বা বাভুমা ছুটেন নিজের সেঞ্চুরির দিকে। জুটিতে ৫৩ রান আসার পর তাদের থামতে হয়। আর সেই থামানোর কাজটি প্রথমে করেন মিরাজ, পরে এবাদত।
সেঞ্চুরির ঘ্রাণ পেতে থাকা টেম্বা বাভুমাকে ৯৩ রানে ফিরিয়ে দেন মিরাজ বোল্ড করে। তার ১৯০ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার। সেটি ছিল মিরাজের ওভারের শেষ বলে। পরের ওভার করতে আসেন এবাদত। তার প্রথম বলেই তিনি মহারাজকে বোল্ড করেন। দলের সংগ্রহ পরিণত হয় ৮ উইকেটে ২৯৮। লাঞ্চের আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট ৯টি হতে পারত। এবাদতের বলে উইলিয়ামসকে এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান উইলিয়ামস। তখন রান ছিল ১।
এমপি/আরএ/