দুই রূপগঞ্জের জয়
এবারের প্রিমিয়ার লিগে শুরু থেকেই বেশ সেঞ্চুরি হচ্ছে যেমন, তেমনি আবার সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে বঞ্চিত হওয়ার সংখ্যাও অনেক। এক নাঈম ইসলামই নব্বইর ঘরে গিয়ে আউট হয়েছেন ৩ বার। এ ছাড়া আরও অনেকেই আছেন। এবার সেখানে যোগ হয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্সের ভারতীয় ক্রিকেটার বাবা অপরাজিত।
মাত্র ২ রানের জন্য তিনি সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। তিনি সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও তার দল কিন্তু জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। ৩৬ রানে হারিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যান সংঘকে। আগে ব্যাট করে রূপগঞ্জ ৭ উইকেটে করে ২৫৯। জবাব দিতে নেমে খেলাঘর ৪৬.৩ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। বিকেএসপির ৪ নম্বার মাঠে দিনের অপর ম্যাচে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ লিগে২২ রানে হারিয়েছে সিটি ক্লাবকে।
এই ম্যাচেও নাঈম ইসলাম (৫২) হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। ৬ ম্যাচে এটি ছিল তার চতুর্থ হাফ সেঞ্চু্ির। অপর দুইটিতে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্স শুরুতে বেশ বিপাকেই পড়েছিল ২০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে। সেখান থেকে ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ন হয়ে দলকে টেনে নিয়ে যানর বাবা অপরাজিত। সঙ্গি হিসেবে পেয়ে যান ফজল মাহমুদ ও দলপতি মার্শাল আইয়ুবকে। তিন জনই ফিফটির দেখা পান। আর এতে করে রূপগঞ্জ টাইগার্স অলআউট না হয়ে ৭ উইকেটে করে ২৫৯ রান। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাবা ও ফজল ৮৯ ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাবা ও মার্শাল ১১৬ রান যোগ করেন। বাবা ১২০ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৯৮ রান করে ইলিয়াস সানির বলে বোল্ড হয়ে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন।
মার্শাল আইযুব ৬০ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৬৩ এবং ফজল মাহমুদ ৬৭ বলে ৬ চারে ৫২ রান করেন। মাসুম খান ও ইলিয়াস সানি ২টি করে উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে খেলাঘরের শুরুটাও ছিল রূপগঞ্জ টাইগার্সের মতোই। তারা ২৬ রানে হারায় ২ উইকেট। কিন্তু তাদের হয়ে বাবা অপরাজিতের মতো কেউ হাল ধরতে পারেননি। ফলে ৯১ রানে হারায় ৫ উইকেট। পরে অবশ্য হাল ধরেছিলেন সালমান হোসেন ও ইলিয়াস সানি। দুই জনেই ফিফটির দেখা পান। কিন্তু তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ইলিয়াস সানি ৫৯ ও সালমান হোসেন ৫৮ রান করেন। তাদের শেষ ৪ উইকেট পড়ে মাত্র ২০ রানে। নাসুম আহমেদ, শরিফউল্লাহ, এনামুর জুনিয়র,মুকিদুল ও ফরহাদ রেজা ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।
সিটি ক্লাবের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ২২৫ রান।৪৫ রানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে চেরাগ জানি ও নাঈম ইসলাম ১০৭ রান যোগ করেন। হাফ সেঞ্চু্ির করে ৫ রানের ব্যবধানে দুইজনেই আউট হন। নাঈম ৫২, চেরাগ জানি ৫১ রান করেন। এই ২ জন ছাড়া তানভীর হায়দার ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। আব্দুল হালিম ও ওসমান খালিদ ৩টি করে উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে আশিক-উল-আলম নাঈম ও জাকিরুল আহমেদ ছাড়া বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৩৭.৫ ওভারে ২০৩ রানে অলআউট হজয়ে যায়। আশিক ৬২ ও জাকিরুল ৫৬ রান করেন। চেরাগ জানি ২৮ রানে ৪টি ও মেহেদি হাসান রানা ৩৪ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এমএমএ/