৩ উইকেট তুলে নিয়ে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের
প্রভাত দিনের যে আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে, তা অনেকটাই কেটে গেছে দ্বিতীয় সেশনে। প্রথম সেশন হতাশায় কাটানোর পর দ্বিতীয় সেশনটা আর হতাশায় কাটেনি বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকার তুলে নেওয়া হয়েছে ৩ উইকেট।
জগদ্দল পাথরের মতো বাংলাদেশের গাড়ে চেপে বসা দুই ওপেনার, অধিনায়ক ডিন এলাগর ও সারেল এরউইসহ সাজঘরে ফিরে গেছেন পিটারসনও। মিরাজ ও খালেদ ১টি করে উইকেট নেয়ার পাশাপাশি অপরটি ছিল রানআউট। তাই তো বিনা উইকেটে ১১৩ রান থেকে স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১৪৬।
চা বিরতিতে গিয়েছে ৩ উইকেেট ১৬৫ রানে। টেম্বা বাভুমা ২২ ও রায়ান রিকেলটন ১১ রানে নিয়ে প্রথম দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামবেন। তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলদেশ স্বাগতিকদের রান সংগ্রহরে গতিও কমিয়ে দিয়েছে। প্রথম সেশনে ২৫ওভারে যেখানে রান উঠেছিল বিনা উইকেটে ৯৫, সেখানে দ্বিতীয় সেশনে ২৮ ওভারে রান যোগ হয় ৩ উইকেটে ৭০।
বিনা উইকেটে ৯৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করতে যাওয়া দুই ওপেনার এলগার ও এরউইয়ের ভোজন হজম করতে দেননি বাংলাদেশের দুই বোলার খালেদ ও মিরাজ।
দলীয় শতরান যোগ করার পর তাদের আর বেশি দূর যেতে পারেননি। দলীয় ১১৩ রানে বাংলাদেশে শিবিরে উল্লাস করার উপলক্ষ এনে দেন খালেদ। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে দ্বিতীয় বলেই পেয়ে যান উইকেট। তার আচমক লাফিয়ে উঠা বল এলগারের গ্লাবস ছুঁয়ে উইকেটের পছনে লিটন দাসের হাতে জমা পড়ে। এলগার আউট হন ৬৭ রানে। ৪ রান পরে এলগারের পথ দেখান এরউইকে মিরাজ।
অফঢ স্ট্যাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে প্লেইডঅন হন ৪১ রানে। শেষ হয় তার ১০২ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসের। বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট ছিল মিরাজর কর্যানে রানআউট করে। তাসকিনের বল পিটারসন পয়েন্ট খেলে রান নিতে ছুটেন। মিরাজ ঝাঁপিয়ে পড়ে বল আটকে পরে সরাসরি থ্রোতে পিটারসনের (১৯) স্ট্যাম্পে আঘাত হানেন।
এমপি/এমএমএ/