১ রানে হেরে জেতা ম্যাচ হাতছাড়া ব্রাদার্সের
প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগে বুধবারের (৩০ মার্চ) খেলায় জয় পেয়েছে আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আবাহনী ৩৪ রানে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে, টানটান উত্তেজনার ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ১ রানে ব্রাদার্সকে এবং গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৭২ রানে মোহামেডানকে পরাজিত করে।
দিনের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ন খেলা ছিল প্রাইম ব্যাংক ও ব্রার্দাসের মাঝে। ১ রানে ম্যাচ জেতা প্রাইম ব্যাংক ছিল নিশ্চিত হারের মুখে। বিকেএসপির ৪ নম্বার মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক নাসির হোসেনের ৬৬, শাহদাত হোসেনের ৬৪ ও শামসুর রহমানের ৬০ রানে ভর করে ৯ উইকেটে ২৭৩ রান করে। আবু হায়দার রনি ৫১ রানে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন সুজন হালদার। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আমিনুল ইসলামের ৬২, ধীমান ঘোষের ৫১ রানের সঙ্গে সোহাগ গাজীর মারমুখী মাত্র ২১ বলে ৫৪ রানের সুবাদে ম্যাচ জেতার পথেই ছিল। এক পর্যায়ে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১১ বলে ৩ উইকেটে ৬ রানের। জয় সময়ের ব্যাপার। কিন্তু সেই জয়ও হাত ছাড়া হয়ে যায় ব্রাদার্সের ৯ বলে ৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে। ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া রেজাউর রহমান রাজা পরপর ২ বলে আমিনুল ইসলাম ও রহিমউদ্দিনকে ফিরিয়ে দেয়ার পর শেষ ওভারে অলক কাপালি শেষ ব্যাটসম্যান সুজন হালদারকে আউট করলে ১ রানে জয়ের আনন্দে মেতে উঠে প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা। রাজা ৪৩ রানে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো নেন ৫ উইকেট।
ইউল্যাব মাঠে রান উৎসবে মেতে উঠেছিলেন আবাহনী ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটসমানরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আবাহনী ৫ উইকেটে ৩৩৩ রান করে। জবাব দিতে নেমে শাইনপুকুর ৭ উইকেটে ২৯৯ রান করে। ম্লান হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান সিকান্দর রাজার ১০৭ রানের ইনিংস। আবাহনীর ইনিংসে ছিল দুইটি হাফ সেঞ্চুরি। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৬৫ বলে করেন ৮৮ রান। ৬০ রান আসে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে। ৪৫ রান করেন তেহিদ হৃদয়। মাত্র ১১ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন। ২ উইকেট নেন নাইমুর রহমান। জবাব দিতে নেমে ৬৬ রানে ২ উইকেট হারালেও শাইনপুকুর ক্লাব ওপেনার অভিষেক মিত্র ও সিকান্দার রাজার ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৩৭ রান যোগ করেন। অভিষেক মিত্র ১০২ বলে ৮২ রান করে ফিরে গেলেও সিকান্দার রাজা ফিরেন ৯৩ বলে ১০৭ রান করে। ২টি করে উইকেটে নেন তানভীর ইসলাম ও আফিফ হোসেন।
বিকেএসপির ৩ নম্বার মাঠও টস জেতা দল বোলিং নিয়ে ম্যাচ হেরে যায়। এ ক্ষেত্রে দল ছিল ছিল মোহামেডান। ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গাজী গ্রুপ অকবর আলীর অপরাজিত ৪৫ বলে মারমুখি অপরাজিত ৮৯ রানের সঙ্গে ফরহাদ হোসেনের ৬২, মাহমুদুল হাসানের ৫৯ ও আকবর উর রহমানের ৫৪ রানে ৭ উইকেটে ৩৪৬ রান করে। ইয়াসির আরাফাত, মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ হাফিজ নেন ২টি করে উইকেট। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫.৫ ওভার বাকি থাকতে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। রনি তালুকদার ৮২, আরিফুল ইসলাম ৫৯ জাহিদুজ্জামান ৪৮ রান করেন। আল আমিন ৩টি ও হুসনা হাবিব, কাজী অনিক ও আকবর উর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।
এমপি/এএস