আইপিএলে অভিষেক ম্যাচে জয় পেল গুজরাট
এবারের আইপিএলে নতুন দুই দল গুজরাট টাইটান্স ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস যুক্ত হয়েছে। আইপিএলে দল দুটি তাদের অভিষেক ম্যাচে সোমবার (২৮ মার্চ) একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। সমর্থকদের মধ্যে তাই বিশেষ আগ্রহ ছিল ম্যাচটিকে ঘিরে।
অভিষেক ম্যাচেই জমজমাট লড়াই উপহার দিয়েছে গুজরাট টাইটান্স ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। আর এ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হেসেছে গুজরাট।
সোমবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএলে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে লক্ষ্ণৌকে ৫ উইকেটে হারায় গুজরাট। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ২ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য ছৌঁছে যায় গুজরাট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে গুজরাটের শুরুটা হয় নড়বড়ে। দলীয় ১৫ রান তুলতেই তারা ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এর মধ্যে ওপেনার শুভমান গিল রানের খাতাই খুলতে পারেননি। লঙ্কান পেসার দুশমন্ত চামিরার বলে দীপক হুডার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শুভমান। এরপর তিনে নামা বিজয় শঙ্করকেও (৪) বিদায় করেন চামিরা। তবে ১১ বছর পর আইপিএলে ফেরা অজি উইকেটকিপার-ব্যাটার ম্যাথু ওয়েড (৩০) ও অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (৩৩) মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলের বিপর্যয় ঠেকিয়ে দেন। তবে ৬ রানের ব্যবধানে দুজনেই বিদায় নিলে আবারও চাপে পড়ে যায় গুজরাট।
গুজরাটকে পুরোপুরি চাপমুক্ত করেন ডেভিড মিলার ও রাহুল তেওয়াতিয়া। এই দুজনের জুটিতে আসে ৩৪ বলে ৬০ রান। রান ও বলের ব্যবধান অনেকটা ঘুচিয়ে দেন দুজনেই। 'কিলার মিলার' অবশ্য দলের জয় নিশ্চিত করে যেতে পারেননি। দলকে ১৩৮ রানে রেখে ভারতীয় পেসার আবেশ খানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে এই প্রোটিয়া ব্যাটার ২১ বলে ৩০ রান করেন। তবে মূল ভূমিকাটা দারুণভাবে পালন করেন তেওয়াতিয়া। শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রানের লক্ষ্যটাকে সহজ করে দেন তিনিই। তার মাত্র ২৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংসে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গুজরাট। আর মাত্র ৭ বলে ৩ ছক্কায় ১৫* রান করা অভিনব মনোহর ছিলেন পার্শ্ব-নায়কের ভূমিকায়।
বল হাতে লক্ষ্ণৌর চামিরা ২টি এবং আবেশ, ক্রুণাল ও হুডা ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে লক্ষ্ণৌ। কিন্তু ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির আগুনে বোলিংয়ে ১৩ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় তারা। এর মধ্যে ইনিংসের প্রথম বলেই লক্ষ্ণৌর ওপেনার ও অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের (০) উইকেট তুলে নেন শামি। নিজের পরের ওভারে বিপজ্জনক প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কককে (৭) বোল্ড করে বিদায় করেন এই পেসার। দুই ওপেনারের পর লক্ষ্ণৌর ব্যাটিং লাইনআপের তিন ও চারে নামা লুইস ও মনিশ পান্ডেও ফেরেন দ্রুতই। লুইস ৯ বলে ১০ রান করে বরুণ অরুণের শিকার হন। পরের ওভারে ফের শামি ঝলক। এবার মনিশের (৬) স্ট্যাম্প ভাঙেন শামি।
মাত্র ২৯ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। তবে এরপর ৬৮ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামাল দেন দীপক হুডা ও আয়ুশ বাদোনি। হুডা ৪১ বলে ৫৫ রান করে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন। অন্যদিকে বাদোনি অরুণের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৪১ বলে ৫৪ রান। বিদায়ের আগে ক্রুণাল পান্ডিয়ার সঙ্গে তার ২৩ বলের জুটিতে আসে ৪০ রান। আর তাতেই লড়াই করার পুঁজি পায় লক্ষ্ণৌ। ক্রুণাল ১৩ বলে ৩ চারে ২১ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে শামি ৩টি, অরুণ ২টি এবং রশিদ ১টি উইকেট নেন। মোহাম্মদ শামি ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
আরএ/