হাফিজের রানে ফেরার দিনে জয় পেল মোহামেডান
ফাইল ফটো
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে পাকিস্তানি ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজকে দলভুক্ত করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তিন ম্যাচ খেলে ফেললেও সেই অর্থে রানের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। অবশেষে চতুর্থ ম্যাচে এসে রানের দেখা পেলেন তিনি। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ফিফটি করেছেন হাফিজ। হাফিজের রানে ফেরার দিনে জয় পেয়েছে তার দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
সোমবার (২৮ মার্চ) সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডাম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ ওভারে ১৮৫ রান তুলে অলআউট হয় শেখ জামাল। জবাবে ২৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় মোহামেডান।
শেখ জামালের দেওয়া মাঝারি লক্ষ্যে দেখেশুনেই ব্যাট করতে থাকেন মোহামেডানের দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও পারভেজ হোসেন ইমন। দলীয় ৩৬ রানে ইমনের বিদায়ে ভাঙে ওপেনিং জুটি। হতাশ করেন সৌম্য সরকারও। মাত্র ১ রান করে রানআউটের শিকার হন তিনি। তাতে কিছুটা চাপে পড়ে মোহামেডান।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সদ্যই ফিরে দলে যোগ দেওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে দলের হাল ধরে চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চালান রনি। গড়েন ৪২ রানের জুটি। রিয়াদ বিদায় নিলে হাফিজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রনি। স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান যোগ করেন তারা। এরপর আরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৬২ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন হাফিজ। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় মোহামেডান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন রনি। ৭৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। আসরে প্রথম ফিফটি তুলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন হাফিজ। ৫৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। আরিফুল করেন অপরাজিত ৩৩ রান।
এর আগে মোহামেডানের স্পিনারদের ঘূর্ণিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বড় চাপে পড়ে শেখ জামাল। দলীয় ২২ রানে ইনফর্ম সাইফ হাসানসহ চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। দলীয় ৬৭ রানে তো দলটির লেজই বেরিয়ে আসে। ৭টি উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। তবে অষ্টম উইকেটে সানজামুল ইসলামকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তাইবুর রহমান। গড়েন ৭৪ রানের জুটি। তাতে কোনো মতে লড়াইয়ের পুঁজি মিলে দলটির। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন তাইবুর। ৭৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৪৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন সানজামুল।
মোহামেডানের হয়ে ৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান নাজমুল ইসলাম অপু। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ইয়াসিন আরাফাত মিশু, হাসান মাহমুদ ও শুভাগত হোম।
আরএ/