শেখ রাসেলকে বিদায় করে সেমিফাইনালে পুলিশ
আগাগোড়া ভালো খেলেও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে শিরোপা প্রত্যাশী গতবারের রানার্সআপ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে একসঙ্গে চলছে দুইটি আসর। একটি মেয়েদের সাফ অনুর্ধ্ব-১৯ আসর, আরেকটি স্বাধীনতা কাপ।
স্বাধীনতা কাপ শুরু হয়েছিল আগেই। কিন্তু সাফ আসরের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালের খেলা হচ্ছে একদিন পরপর। একইভাবে সাফের খেলাও হচ্ছে একদিন পরপর। ১১ ডিসেম্বর মেয়েদের আসর মাঠে গড়ানোর পর আজ ছিল আবার স্বাধীনতা কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখানে ঘটেছে অঘটন, হেরেছে শেখ রাসেল।
খেলার শুরুতে ৪ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় পুলিশ। জার্মান ফরোয়ার্ড আদিল কুসকুসের ক্রস থেকে বক্সের ভেতর থাকা আফগানিস্তানের আমিরুদ্দিন শারিফি হেড করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। এই গোলের পর ৮৬ মিনিট সময় পেয়েছিল শেখ রাসেল। গোল পরিশোধ করা, এগিয়ে যাওয়া- এ রকম সুযোগ পেয়েছে অনেক। এমনকি পেনাল্টিও পেয়েছিল। কিন্তু কোনো কিছু কাজে লাগাতে না পেরে কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে যায় তাদের চালিকা শক্তি।
গোল হজমের পর শুরু হয় শেখ রাসেলের গোল পরিশোধের মিশন। আক্রমণে আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তুলে পুলিশের সীমানা। ২৪ মিনিটে আসে প্রথম সুযোগ। আইজার আখমোদভের হেডে মানিক হোসেন মোল্লা বা নাসিরউদ্দিন চৌধুরী যে কেউ পা ছোঁয়ালে গোলটি হতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, ফলে নষ্ট হয় প্রথম সুযোগ।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এইলটনের ব্যাক হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায় ৩৪ মিনিটে। এই অর্ধের শেষ মিনিটে সমতা আনার সহজ সুযোগ নষ্ট করে শেখ রাসেল। মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের ক্রস থেকে গোলমুখে পা লাগাতে ব্যর্থ হন মান্নাফ রাব্বী। এই আক্রমণের আগে ৪১ মিনিটে হেমন্তর শরীরে হাত তোলার কারণে লালকার্ড দেখেন পুলিশের মোনায়েম খান রাজু।
প্রথমার্ধের ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে দ্বিতীয়ার্ধেও। ৫২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ব্রাজিলের এইলটন। তার স্পট কিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক নেহাল।
৬২ মিনিটে পেনাল্টি নেওয়ার জন্য বক্সে ইচ্ছেকৃতভাবে পড়ে গিয়ে উল্টো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে শেখ রাসেল ১০ জনের দলে পরিণত হয়। এতে করে তাদের জন্য গোল পরিশোধ আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
এমপি/এএন