মেসির পেনাল্টি মিসে প্রথমার্ধে গোল পায়নি আর্জেন্টিনা
আক্রমণের পর আক্রমণ। শটের পর শট। মেসির আর্জেন্টিনার সবকিছু বাঁধা পড়েছে গিয়ে পোল্যান্ডের গোলরক্ষক জেসনির কাছে। প্রথমার্ধের খেলা দেখে মনে হবে খেলা হয়েছে আর্জেন্টিনা বনাম পোল্যান্ডের গোলরক্ষকের মাঝে। কি করলেন তিনি? কোট কোটি আজর্জেন্টিনার ভক্তদের হতাশ করে গোল করার উল্লাসে মেতে উঠতে দেননি। শেষ ষোলতে যেতে হলে জয়ের জন্য মরিয়া আর্জেন্টিনার জন্য তাই প্রথমার্ধ হতাশা নিয়ে আসেন তিনি। মেক্সিকো ও সৌদি আরবের ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনও গোল হয়নি।
৯৭৪ স্টেডিয়ামে মেসির পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেয়া ছাড়াও পোলিশ গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিয়েছেন আরও একাধিক প্রচেষ্টা। পেনাল্টি আটকানো ছাড়াও নিশ্চিত গোল হওয়া বলও তিনি আটকে দেন। আর্জেন্টিনার সাত সাতটি অন টার্গেট শট শুধুই তার কাছে গিয়ে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। তিনি যখন একর পর এক আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন তখন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক মার্টিনেজ নিরব দর্শক হয়ে দেখে যাচ্ছিলেন। একটি শটও তাকে আটাকাতে হয়নি।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা ৬৬ ভাগ বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। শট নিয়েছে ১২টি। যার ৭টিই ছিল অন টার্গেট। কর্ণার ছিল ৭টি। পোল্যান্ডের কর্ণার ছিল মাত্র একটি। তাদের দলে যে লেভানদোভস্তি নামে একজন দুর্ধষ স্ট্রাইকার আছেন তা খোঁজেই পাওয়া যায়নি।
এক নজরে প্রথমার্ধে আজর্জেন্টিনার আক্রমণগুলো
২ মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির কর্ণার থেকে ওটামান্ডির হেড সাইড বার দিয়ে বাইরে চলে যায়।
৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসির ডান পায়ের দূর্বৈল শট সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে যায়।
১০ মিনিটে বাম প্রান্ত দিয়ে ডুকে মেসির বাম পায়ের শট গোলরক্ষক কর্নার করে রক্ষা করেন।
এই সময়ের মাঝেই আর্জেন্টিনা তিন তিনটি শট নেয়া। যার দুইটি ছিল অন টার্গেট। বিপরীতে পোল্যান্ডের শট ছিল একটি। কোনও অন টার্গেট শট ছিল না। আর্জেন্টিনা ২টি কর্ণার আদায় করে নেয়। পোল্যান্ড একটিও কর্ণার পায়নি।
১৬ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে আলভারেজের শট বারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।
১৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আস ক্রসে আলভারেজের হেড লক্ষ্যভ্রস্ট হয়।
২৮ মিনিটে আর্জেন্টিনা দুই দুইটি সুযোগ হাতছাড়া করে। ডান প্রান্ত থেকে ভেসে ক্রস থেকে আলভারেজের শট রক্ষণে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে ফিরে আসার পর অ্যাকুনার ডান পায়ের কোনাকুনি শট বার ঘেষে বাইরে চলে যায়।
৩২ মিনিটে ডি মারিয়ার বাম পায়ে নেয়া কর্ণার শট সরাসরি গোলে ডুকার মুহুর্তে গোলরক্ষ ককর্নার করে নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন।
৩৫ মিনিটে আলভারেজের বাম পায়ের শট পোলিশ গোলরক্ষক ব্লক করে রক্ষা করেন। ফিরতি বলে আলভারেজের ক্রস থেকে মেসি হেড দিতে উঠলে আবারও গোলরক্ষক পাঞ্চ করে রক্ষা করেন।এ সময় মেসিকে হাত দিয়ে মুখে আঘাত করলে রেফারি ভিএআর পরীক্ষা করে পেনাল্টি দেন। কিন্তু মেসির নেয় পেনাল্টি আটকে দেন সেই গোলরক্ষক।
৪২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আলভারেজের ডান পায়ের আচমকা শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে সামনে থাকা এক আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়ের হেড তার হাতে চলে যায়।
এমপি/এএস