ফ্রান্সকে হারিয়েও বিদায় নিল তিউনিশিয়া
ঝুঁকি নেন দিদিয়ের দেশম। ফ্রান্স কোচ নিয়মিতদের বেঞ্চে বসিয়ে একাদশ সাজান অনিয়মিতদের দিয়ে। তার ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তে বিশ্বকাপে হারের স্বাদ পেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তিউনিশিয়ার। ফ্রান্সকে হারিয়েও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে আফ্রিকান দলটি।
বুধবার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ওহাবী খাজরীর গোলে তিউনিশিয়া জিতেছে ১-০ ব্যবধানে। একই দিনে আল জানুবে ‘ডি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারায় অস্ট্রেলিয়া। এতে সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট নিশ্চিত করে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় গ্রুপসেরা হয়েছে ফরাসিরা।
গ্রুপপর্বের শেষটায় চমক দেখিয়ে টেবিলের তিনে থেকে বিদায় নিল আফ্রিকার তিউনিশিয়া। ৩ ম্যাচে ১টি করে জয়-হার-ড্রয়ে তাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে ৪ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানীতে থেকে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করল ডেনমার্ক।
দেশম আগেই জানিয়েছিলেন যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন তিনি। ম্যাচে সেটা বাস্তবায়নও করেন। কিলিয়ান এমবাপে, আতোয়ান গ্রিজম্যান, অলিভিয়ের জিরু ও উসমানের দেম্বেলেকে বসিয়ে রেখে একেবারে ভিন্ন এক দল মাঠে নামান ফ্রান্স। এমনকি গোলরক্ষক হুগো লরিসকেও বসিয়ে রাখেন তিনি।
ফরাসিদের ‘অচেনা’ একাদশ ম্যাচে বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছিল। কিন্তু ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলমুখে তিনটি শট নিতে পারে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। বিপরীতে আক্রমণ সানিয়ে তাদেরকেও দারুণ চাপে রাখে তিউনিশিয়া।
আফ্রিকান দলটির ৫ শটের ৩টি ছিল লক্ষ্যে। যদিও প্রথমার্ধে জালের দেখা পায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ফরাসি ভক্তদের স্তব্ধ করে দেন কাজরী। ৫৮ মিনিটে তিউনিশিয়াকে জয়সূচক গোলটি উপহার দেন এই ফরোয়ার্ড। গোল হজমের পর টনক নড়ে দেশমের। একে একে মাঠে নামান এমবাপে, গ্রিজম্যান ও দেম্বেলেকে। কিন্তু দেশমের শেষ মুহূর্তে কৌশল আর কাজে আসেনি। বহু চেষ্টা চালিয়েও গোল শোধ দিতে পারেনি তার শিষ্যরা। ইনজুরি সময়ে জালে বল পাঠিয়েছিলেন গ্রিজম্যান, কিন্তু সেটা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। এরপরই বাজে ম্যাচের শেষ বাঁশি।
এসএন