রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মেক্সিকোর বিপক্ষে পরিসংখ্যান কথা বলছে আর্জেন্টিনার

সময়ের সেরা খেলোয়াড় মেসি। সাফল্য গড়াগড়ি খায় তার আঙিনায়। কিন্তু এতসব সাফল্যের মাঝে নেই বিশ্বকাপের মুকুট। জাতীয় দলের হয়ে তিনি একটিই মুকুট জিতেছেন গত বছর কোপা আমেরিকা। কিন্তু এই কোপার শিরোপা দিয়ে তো আর বিশ্বকাপের শিরোপা খরা ঘুচানো যাবে না। সেজন্য চাই বিশ্বকাপেরই শিরোপা।

কিন্তু একে একে মেসি চার চারটি বিশ্বকাপ খেলেও সেখানে পূর্ণতা এনে দিতে পারেননি। এবার তার শেষ বিশ্বকাপ। শেষ সুযোগ। বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি ভক্ত সমর্থকদের অন্তরের আওয়াজ একটি ‘মেসির হাতে চাই বিশ্বকাপ দেখতে।’ কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বিশাল এক হোঁচট খেতে হয়েছে। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে ২-১ গোলে হার দিয়ে যাত্রা শুরু করতে হয়েছে মেসি বাহিনীকে।

এই একটি হারই মেসির শেষ ইচ্ছে পূরণে দলকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে। ‘সি’ গ্রুপে তিন ম্যাচের শেষ দুটি আর্জেন্টিনাকে খেলতে হবে মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে। যা হয়ে উঠেছে মেসি, আর্জেন্টিনা ও আর্জেন্টিনা ভক্তদের জন্য অস্তিত্বের লড়াই। জয় ভিন্ন আর কোনো উপায় নেই। ড্র করলেও যে বাদ পড়ে যাবে তা নয়, সেক্ষেত্রে আজ সৌদি আরব ও পোল্যান্ডের ম্যাচের ফলাফলও বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। এই ম্যাচ সৌদি আরব জিতলে আর্জেন্টিনার জন্য অনেক ভালো হবে। তবে গ্রুপ পর্বের বৈতরণি পার হতে হলে আর্জেন্টিনাকে কোনো ‘যদি’ নির্ভর সমীকরণে যাওয়া চলবে না। সরাসরি জিততে হবে। আর সেটি করতে হবে আজ মেক্সিকোকে দিয়েই। যে স্টেডিয়ামে সৌদি আরবের কাছে হেরেছিল ২-১ গোলে, সেই লুসাইল স্টেডিয়ামেই দুই দল মুখোমুখি হবে রাত ১ টায়।

বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে আর্জেন্টিনার রেকর্ড খুবই ভালো। শতভাগ সাফল্য। তিন ম্যাচে খেলে প্রতিটিতেই পেয়েছে জয়। প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৩০ সালে। আর্জেন্টিনা জয়ী হয়েছিল ৬-৩ গোলে। স্ট্যাবিলে হ্যাটট্রিক করেন। ২ গোল করেন জুমেলজো। অপর গোলটি করেন ভারাল্লো। মেক্সিকোর হয়ে রোসাস ২টি ও গায়ন গোল করেছিলেন। দুই দল দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয়েছিল ২০০৬ সালে শেষ ষোলোতে। এই ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছিল ২-১ গোলে। মারকুয়েজের গোলে আর্জেন্টিনা পিছিয়ে পড়ার পর ক্রেসপো ও রদ্রিগেজের গোলে জয় পেয়েছিল। পরের আসরে আবারও দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার আর্জেন্টিনা জয়ী হয়েছিল ৩-১ গোলে। তাবেজ ২টি ও হিগুয়েন গোল করার পর মেক্সিকোর হয়ে ১টি গোল পরিশোধ করেছিলেন হেমানডাজ।

আর্জেন্টিনা শুধু বিশ্বকাপের পরিসংখ্যানেই মেক্সিকোর বিপক্ষে এগিয়ে নয়, মোট দেখাতেও বেশ এগিয়ে। ৩৫ বারের মোকাবিলায় আর্জেন্টিনার জয় ১৬টি। মেক্সিকো জিতেছে ৫টিতে। ১৪ বার হয়েছে ড্র। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাদের সর্বশেষ জয় ছিল ২০০৪ সালে কোপা আমেরিকায় ১-০ গোলে। গোল করেছিলেন মোরালস। এরপর একে একে হেরেছে ৮ ম্যাচে। ড্র করেছে দুটিতে। মেক্সিকোর বিপক্ষে শেষ ১০ ম্যাচে আর্জেন্টিনা হারেনি।

মেক্সিকো আবার বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ তিন ম্যাচে কোনো গোলের দেখা পায়নি। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে সুইডেন ও ব্রাজিলের বিপক্ষে হারের পর এবারের আসরে পোল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ গোলশূন্য ড্র করে। মেক্সিকো বিশ্বকাপে সর্বশেষ ২১ ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ১০টিতে। হারের সংখ্যা ৩ ম্যাচে। ড্র আছ ৮টিতে। আবার সর্বশেষ খেলা ৯ ম্যাচের ৫টিতে তারা কোনো গোল হজম করেনি।

এমপি/এসজি

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল