সৌদির জন্য ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ
১৯৯৪ বিশ্বকাপে সৌদি আরবের প্রথম আগমন। অভিষেকেই শেষ ষোলোতে উঠে নজর কেড়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এরপর টানা তিন আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়।
২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে বাছাই পর্বে বিদায়। সর্বশেষ গত রাশিয়া বিশ্বকাপে খেললেও গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হতে পারেনি দলটি। এবার কাতারে হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল।
সৌদি আরবের জন্য যা অনেকটা ঘরের মাঠ। আগাম উত্তেজনায় ফুটছে সৌদি আরবের বদর তুর্কিস্তানি সমর্থকরা। যারা বিগত বিশ্বকাপগুলোতে গ্যালারিতে গান গেয়ে হয়ে আছে আলোচিত। এবারও সেই ধারায় হাটবে বদর তুর্কিস্তানিরা। ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কাতারে গিয়ে দলকে যোগাবে সাহস।
লোহিত সাগর উপকূলে নিজ বাসস্থান জেদ্দা থেকে মাত্র দুই ঘন্টার দূরত্বে দোহার বিশ্বকাপ সৌদিকে দিচ্ছে ঘরের মাঠের অনুভূতি। এত কাছে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে বিপুল সংখ্যক ফুটবল পাগল সৌদি ভক্তদের উপস্থিতি আশা করছেন তুর্কিস্তানি।
সেই সঙ্গে স্বপ্ন দেখছেন তাদের সমর্থন পেয়ে তিন দশকের মধ্যে প্রথম গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে পারবে গ্রীন ফ্যালকনরা। ৩৭ বছর বয়সি সৌদির এক প্রকৌশলী এএফপিকে বলেন, ‘বিপুল সমর্থকদের উপস্থিতির কারণে সৌদি জাতীয় ফুটবল দল মনে করবে তারা নিজে দেশেই খেলছে। কাতারে বিশ্বকাপ খেলা মানে নিজ দেশ সৌদি আরবে খেলার মতোই।’
সামান্য একটা সীমান্ত আমাদের আলাদা করে রেখেছে। তবে আমাদের বিপুল সংখ্যক সমর্থক স্টেডিয়াম পূর্ন করে রাখবে, এই সংখ্যা ৫০ বা ৬০ হাজার হতে পারে।’
সম্প্রতি এক বিকেলে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী জামার সঙ্গে সাদা ও সুবজ স্কার্ফ পরে নিজ দল গ্রীন ফ্যালকনের সমর্থনে একটি গান পরিবেশন করেছেন তিনি। তার সঙ্গে পশুর চামড়া দিয়ে বানানো একটি ড্রাম বাজাতে দেখা যায় তার এক বন্ধুকে। গানের কথাগুলো এরকম, ‘এটি সৌদি আরবের সুবজতা, ওহ সৌদি, আমরা এসেছি।’
তুর্কিস্তানি বলেন, ‘কাতারে আমার সঙ্গে এই গানটিতেই গলা মেলাবে অন্তত ৫০ হাজার সমর্থক। রাশিয়ায় যে সংখ্যা ছিল মাত্র ৫ হাজার। এই উৎসাহ খেলোয়াড়দের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। ভক্ত হিসেবে আমরা আশা করছি এভাবে আমরা খেলোয়াড়দের সেরা সামর্থ্য বের করে আনব।’
এমএমএ/