মুশফিক-সাকিব-মাহমুদউল্লাহ মোহমেডানে আছেন আবার নেই!
বাংলাদেশ আফগানিস্তানের সিরিজের মাঝেই এক প্রকার নিরবেই হয়ে গেছে এক সময়কার ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমটা আসর প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগের দল-বদল। কিন্তু এবার নিরব হলে কী হবে। এর উত্তাপ গত মৌসুম শেষ হবার পরপরই ছড়িয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড। তারা বিশ্ব সেরা সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদকে ধরে রাখার পাশাপাশি মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজকে দলে নিয়েছে। রবিবার (৬ মার্চ) রাতে রাজধানীর পাঁচ তারকা একটি হোটেলে ঘটা করে উন্মোচন করেছে নতুন জার্সিও। যেখানে দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে মুশফিকুর রহিমের নাম। তার অনুপস্থিতে দলকে নেতৃত্ব দেবেন পুরানো মুখ শুভাগত হোম। এ নিয়ে নতুন দলনেতা বলেন, ‘আমাদের টিমটাই ওভাবে বানানো হয়েছে। দলের শক্তিমত্তা অনেক বেশি। সাকিব-রিয়াদের রিপ্লেসমেন্ট তো আপনি কোথাও পাবেন না। আমার কাছে মনে হয় ইয়াং ও এক্সিপ্রিয়েন্সের কম্বিনেশনে ভাল দল হয়েছে।'
কিন্তু প্রশ্ন হলো মোহোমেডান এমন ডাকসাইটে দল গঠন করলেও এ সব ক্রিকটোরকে একত্রে মাঠে পাওয়ার সম্ভাবনা ফিকেই। কারণ ১২ মার্চ জাতীয় দল উড়াল দবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। যেখানে সঙ্গী হবেন সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, তাসকিন। বাকি থাকেন শুধু সৌম্য। তখন মোহমেডানকে মাঠে নামতে হবে আবু জায়েদ রাহী, শুভাগত হোম, পারভেজ হাসান ইমনদের মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে। তারপরও লক্ষ্য মরিচিকা পড়ে যাওয়া শিরোপা জেতা। মুশফিক বলেন, ‘অনেক ভেবে-চিন্তে আমাদের সাথে কথা বলেই এবার দল সাজানো হয়েছে। আশা করছি আমরা এবার মোহামেডানকে শিরোপা উপহার দিতে পারবো।’ লিগ শুরু হবে ১৫ মার্চ। জাতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরবে এপ্রিলের মাঝামাঝি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহামেডানের গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান সাবেক সেনা প্রধান মোহাম্মদ আবদুল মুবীন, ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান, পরিচালকদের মাঝে মাহবুব আনাম, খুজেস্তা নূর-ই নাহরিন, মঞ্জরুল আলম, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর, সিদ্দিকুর রহমান, জামাল রানা, আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্সসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন পরিচালক এ. জি এম সাব্বির।
এমপি/এএস