শেখ জামালের জয়ে ‘রাজা’ কিং
১২ দলের প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসসহ হারের স্বাদ পেয়েছে চলতি মৌসুমে ডাবল জয়ী আবাহানী লিমিটেড। বাদ যায়নি নাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, শেখ রাসেল চক্রও। শুধু অপরাজিত ছিল দুইটি দল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও চট্টগ্রাম আবাহনী। এই চট্টগ্রাম আবাহনী আবার আগের ম্যাচে ঢাকা আবাহনীকে দিয়েছিল হারের স্বাদ। মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে: মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রবিবার মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই অপরাজিত দল। খেলা ড্র হলে দুই দলই অপরাজিত থাকত। কিন্তু তা আর হয়নি। জয়-পরাজয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ম্যাচ। সলোমন কিংয়ের দুই গোলে হেসেছে ধানমণ্ডির ক্লাবটি। জিতেছে ২-১ গোলে। বন্দরনগরির ক্লাবটিরে হয়ে গোল করেন পিটার থ্যাঙ্কগড। এই ফলাফলে লিগে একমাত্র অপরাজিত দল থাকল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান শীর্ষে থাকা বসুন্ধরার পরেই। চারে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনীর অবস্থানের হের-ফের হয়নি।
২৯ মিনিটে প্রথম গোলের আগে দুই দলই একটি করে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি। ৯ মিনিটে পিটার থ্যাঙ্কগডের শট শেখ জামালের আরিফুল ইসলাম প্রতিহত করেন। ১১ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীকে রক্ষা করেন কামরুল হাসান। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো থেকে সোলাইমান সিল্লাহর ব্যাক হেড ভেতরে ঢোকার মুহূর্তে কামরুল ফিরিয়ে দেন। ২৯ মিনিটে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে তীব্র শটে গোল করে শেখ জামালকে লিড এনে দেন সলোমন কিং। প্রথমার্ধে তারা এই এক গোলেই এগিয়ে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে চট্টগ্রামের দলটি ৬৪ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিল। রুবেল মিয়ার ক্রস থেকে ফাঁকায় থাকা থ্যাঙ্কগডের হেড বারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। গোল পরিশোধের সুযোগ নষ্ট করার পর উল্টো আবাহনী দ্বিতীয় গোল হজম করে ৬৮ মিনিটে। গোলরক্ষকের ব্যর্থতায় গোলটি হজম করতে হয় আবাহনীকে। বক্সে ভেসে আসা বল গোলরক্ষক ধরলেও প্রথমে হাত ফসকে বের হয়ে যায়। এই সুযোগে বল জালে ঠেলে দেন সলোমন কিং। ৮৩ মিনিটে পিটার থ্যাঙ্কগড একটি গোল পরিশোধ করলেও এটি হতে পারত চট্টগ্রাম আবাহনীর সমতাসূচক গোলও। কিন্তু ৭৬ মিনিটে তারা পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেনি। চট্টগ্রাম আবাহনীর আফগান ফুটবলার অমিত প্রোপলজাইয়ের নেওয়া শট পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
এদিকে গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে উত্তরা বারিধারা। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও তারা ম্যাচ জিতে ৩-২ ব্যবধানে। ৫ গোলের ম্যাচের ৪ গোলই হয় প্রথমার্ধে। ৮ মিনিটে আইজার আখমেতভও ১১ মিনিটে ইসমাইল রুতির গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। কিন্তু ১ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে খেলায় সমতা আনে উত্তরা বারিধারা। ৩৯ মিনিটে ফাজিলভ ও ৪০ মিনিটে সুজন বিশ্বাস গোল করেন। এই সুজন বিশ্বাসই যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের ৪ মিনিটে গোল করে দলকে অভাবনীয় জয় এনে দেন। শেখ রাসেলের এটি ছিল টানা চতুর্থ হার। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫। তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের নয়ে। ৭ পয়েন্ট নিয়ে উত্তরা বারিধারা দশ থেকে উঠে এসেছে আটে।
এমপি/এসআইএইচ