টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের ক্যাম্প অস্ট্রেলিয়ায়
অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডে যখনই বাংলাদেশ খেলতে যায়, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার জন্য অনেক আগেই সেখানে চলে যায়। নিজ খরচে করে অনুশীলন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়াতে অক্টোবর-নভেম্বরে। একদিকে কন্ডিশন, অপরদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। জয় করতে কন্ডিশনকে। জিততে হবে মাঠে। কারণ কন্ডিশনও যেমন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভুগায়, তেমনি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়েছিল। এরপর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও। তিন ম্যাচের সিরিজে হয়েছিল হোয়াইট ওয়াশ। এমনকি মাত্রই শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজও (১-১) ড্র করেছে। তাই এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা কম। যাতে দূগর্তি না নেমে আসে, ভরাডুবি না ঘটে, সেজন্য প্রস্তুতিতে কোনো রকমের ঘাটতি রাখা হচ্ছে না। মাঠে খেলা ছাড়া বিসিবির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করা হচ্ছে। ক্রিকেটারদের এখন সব প্রস্তুতি ভালোভাবে নিয়ে ২২ গজে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে হবে।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ’‘বিশ্বকাপের আগে অ্যাডিলেড অথবা পার্থে দুই সপ্তাহের ট্রেনিং আয়োজনের চেষ্টা করছি। ওখানে প্রাক-বিশ্বকাপ ক্যাম্প হবে। আশা করছি কার্যকর একটা ক্যাম্প হবে।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যর্থতার অন্যতম নাম পাওয়ার হিটিং। মোটেই এখানে সফল নয় বাংলাদেশ। পাওয়ার হিটার সেভাবে নেই বললেই চলে। এই ঘাটতি মেটাতে পাওয়ার হিটিং কোচও নিয়োগ দেওয়ার কথাও ভাবছে বিসিবি। জালাল ইউনুস বলেন, ‘পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগের ব্যাপারটি আমাদের মাথায় আছে।’
এমপি/এসআইএইচ