‘ভালো প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছে বাংলাদেশ’
বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে নিজেদের খেলা আর প্রস্তুতি এই দুইয়ের মাঝেই রেখেছিল। রঙিন পোষাকের ক্রিকেটাররা ছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে।
অপরদিকে সাদা পোষাকের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে অনুশীলনে। শনিবার (৫ মার্চ) একই দিন শেষ হয়েছে দুই দলের খেলা আর প্রস্তুতি। বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকা রওয়ানা হবে ১২ মার্চ। তার আগ পর্যন্ত ছুটি।
এবারের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘টেস্টের খেলোয়াড়দের অবসর ছিল না। তাদেরও আমরা ব্যস্ত রেখেছিলাম। বগুড়ায় বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্পে যথেষ্ট ভালো অনুশীলন হয়েছে। সেদিক দিয়ে প্রস্তুতি খুব ভালো।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদে দল তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। ওয়ানেডে তিনটি বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সুপার লিগের অংশ। সিরিজ শুরু হবে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে। যে কারণে ঢাকা থেকে ক্রিকেটাররা এক সঙ্গে রওয়াান দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে পৌছাবেন দুই ভাগে। ওয়ানেডে দলে যে সব ক্রিকেটাররা আছেন তারা চলে যাবেন জোহানেসবার্গে। টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা যাবেন কেপটাউনে। সেখানে তারা গ্যারি কারেস্টেন ক্রিকেট একাডেমিতে তালিম নেবেন।ওয়ানডে সিরিজ শেষে সবাই একত্রিত হবেন।
জালাল ইউনুস বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় দল দুইটা ভাগ হয়ে যাবে। দোহা থেকে টেস্ট ক্রিকেটাররা কেপটাউন চলে যাবে। গ্যারি কারস্টেনের একাডেমিতে প্রস্তুতি নেবে। আমি মনে করি এটা খুব কাজে দিবে। খেলা কেমন হবে সেটা মাঠেই দেখা যাবে। তবে ভালো প্রস্তুতির চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আমরা খুব সহজ হতে দিব না। আমরা সেরা ক্রিকেট খেলার সেরা চেষ্টা করব।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ দল পূর্নাঙ্গ শক্তি নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স্বাগতিকরা তাদের সেরা কয়েকজন ক্রিকেটারকে পাবে না আইপিএলের কারণে।
এ বিষয়ে ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা তাদের ব্যাপার। কে খেলছে না খেলছে আমরা দেখছি না। এটা আমাদের ইস্যু না। যারাই খেলবে তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকেই প্রতিনিধিত্ব করবে। সেদিকেই মনোযোগ রাখতে হবে যে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলছি।’
এমপি/এমএমএ/