বাংলাদেশের পুঁজি মাত্র ১১৫
আফগানিস্তানকে প্রথমবারের মতো হোয়াইট ওয়াশ করার লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাটিং নেয়ার ফায়দা তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ফায়দা তুলে না নেয়ার কারণে বাংলাদেশের সামনে অনেকগুলো অর্জন পূর্ন হওয়া পড়েছে শঙ্কায়। সিরিজ জিতলে যেমন হোয়াইটওয়াশও করা হতো, তেমনি শঙ্কায় র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে আটে উঠে আসাটাও। ৯ উইকেটে টাইগাররা করেছে মাত্র ১১৫ রান। জিততে হলে প্রতিপক্ষকে করতে হবে ১১৬ রান।
এর আগে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৫৫ রান করে ম্যাচ জিতেছিল ৬১ রনে।
বাংলাদেশের সামনে আফগানিস্তান ‘ভীতি ছিল তাদের স্পিন ত্রয়ী। যদিও আগের ম্যাচে সেই জুজু ভয় কাটিয়ে উঠেতে পেরেছিল। কিন্তু এই ম্যাচে মাত্র ১১৫ রান করলেও সেখানে ছিল না স্পিন ভীতি। স্পিন ত্রয়ীর একজন মুজিব উর রহমান ইনজুরির কারণে সেরা একাদশেই ছিলেন না। রশিদ খানও এ ম্যাচে ভীতি ছড়াতে পারেনি। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। দলপতি মোহাম্মদ নবী অবশ্য বেশ ঝেকে ধরেছিলেন ৪ ওভারে ১৪ রানে ১ উইকেট নিয়ে। আসল ভীতি ছড়িয়েছেন দুই পেসার ফজলহক ফারকী ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুইজনেই তিনটি করে উইকেট তুলে নেন যথাক্রমে ৪ ওভার বোলিং করে ১৮ ও ২২ রানে। সঙ্গে ডট বল ছিল প্রায় অর্ধেক ৫৮টি। এই যখন হয় বোলিং পক্ষের আক্রমণের পরিসংখ্যান, সেখানে ব্যাটিং পক্ষের আর করার কী থাকতে পারে? সর্বোচ্চ রানে আসে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। এরপর দলপতি মাহমুদউল্লাহ করেন ২১ রান। ১৩ রান করে করেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম। আর কেউ দুই অংকের রান করতে পারেনি।
বাংলাদেশ আসলে ৬২ বল খেলে করেছে ১১৫ রান। ৫৮টি বল ডট দিলে, সঙ্গে যদি পড়তে থাকে উইকেট, তখন আর বড় ইনিংস আশা করা যায় না। তারপরও ইনিংসের প্রথম দুই বল যখন ফজলহক ফারকী ওয়াইড করেন, তখন মনে হয়েছিল আজ তাদের বোলিং এলোমেলো হবে। বাংলাদেশ অনেক দূর যাবে। কিন্তু নিজেকে ফিরে পেতে খুব বেশি সময় নেননি ফজলহক ফারকী। সেই ওভারেই তিনি ফিরে আসেন। তার বলে কোনো রানই নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। শুধু শেষ বলে একটি বাই রান এসেছিল। মুজিব না থাকায় তার পরিবর্তে বল হাতে তুলে নেন অন্য প্রান্ত থেকে দলপতি মোহাম্মদ নবী। প্রথম ওভারেই তিনি উইকেট পেয়ে যান মুনিম শাহরিয়ারকে (৪) ফিরিয়ে দিয়ে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে নাঈমের (১৩) উইকেটও হারিয়ে রান আসে ২ উইকেটে মাত্র ৩৩। ১০ ওভারের আগেই ফিরে যান লিটন দাস (১৩) ও সাকিব ও (৯)। এক পর্যায়ে ৪৪ বলে কোনো চার কিংবা ছয় আসেনি। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ মিলে ৩১ বলে ৪৪ রান যোগ করে দলের রান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় দলের রান ফাইটিং স্কোরের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ১১ রানের ব্যবধানে দুজনেই ফিরে গেলে সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ফজল হক ফারকী আবার আক্রমণে এসে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে দেন। তিনি ১৪ বলে ৩ চারে ২১ রান করেন। আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেকে ২০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২৫ বলে ৪ চারে ৩০ রান করার পর মুশফিককে ফিরিয়ে দেন রশিদ খান। শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৬ রান করে। এই ৪ উইকেট হারিয়েছিল মাত্র ৫ রানে।
এমপি/এসআইএইচ