বাঁহাতের খেলা!

আফগানিস্তানকে বাঁহাতের খেলা দেখাল বাংলাদেশের বোলাররা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল মাঝারি মানের। মোট আট উইকেটে ১৫৫ রান। এই রান করে জয়ের আশা নিশ্চিত করে ভাবা যায় না। তারপরও জেতা সম্ভব যদি বোলাররা মিলে-মিলে ভালো বোলিং করতে পারেন। সেই কাজটিই বাংলাদেশের বোলাররা করে দেখিয়েছেন আফগানিস্তানকে মাত্র ৯৪ রানে অলআউট করে।
বাংলাদেশ জয় পায় ৬১ রানে। আর আফগানদের সব কটি উইকেট নেন বাঁহাতি বোলাররা। আফগানদের হারানো যেন বাংলাদেশের বাঁহাতের খেলা ছিল! এক ইনিংসে সব কটি উইকেট বাঁহাতি বোলাররা নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।
এই বাঁহাতের খেলা শুরু হয় নাসুমকে দিয়ে। শেষ হয় মোস্তাফিজকে দিয়ে। বল হাতে নিয়ে ঘুরিয়েছেন ৫ বোলার। এদের একজন ছিলেন ডান হাতি অফ স্পিনার মেহেদি হাসান।
তিনি ৩ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। বাকি চারজনই বাঁহতি। উইকেটও নিয়েছেন ভাগাভাগি করে।
আফগানিস্তানের ইনিংসে বাংলাদেশের বাঁহাতের খেলা শুরু করেন নাসিম আহমেদ। তার ও ইনিংসের প্রথম ওভারে ১টি, দ্বিতীয় ওভারে ২টি, চতুর্থ ওভারে গিয়ে আরও একটি। পাঁচটিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ নিয়েং বেঁচে যান আফগান কাপ্তান মোহাম্মদ নবী। ৪ ওভারে ১০ রানে নেন ৪ উইকটে। ডট বল দেন ১৭টি।
নাসুমের এই সূচনায় উজ্ঝীবিত হয়ে উঠেন দলের বাকি বাঁহাতিরাও। সাকিবের বলও খেলতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। তিনিও ৪ ওভারে ১৮ রানে তুলে নেন ২ উইকেট। ১১টি ছিল ডট বল। দুই বাঁহাতি স্পিনার মিলে টপ অর্ডারের ছয়জনকে ঘায়েল করার পর দুই বঁহাতি পেসার শরিফুল ও মোস্তাফিজ মিলে আফগানদের লেজ ছেটে দেন। শরিফুল তৃতীয় বোলার হিসেবে রশিদ খানকে আউট করে প্রথম উইকেট পান।
এরপর শামিল হন মোস্তাফিজ। তিনি আউট করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। এরপর শরিফুল এক ওভারে তুলে নেন আফগানদের শেষ ২ উইকটে। শরিফুল ২৯ রানে ৩ উইকটে নিতে ডট বল দেন ১৩টি। মোস্তাফিজ ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তার ডট বল ছিল ৯টি।
এমপি/এমএমএ/
