অধিনায়ক হিসেবে শান্তর ওপরই আস্থা বিসিবির
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: সংগৃহীত
এবারের বিশ্বকাপটা বাংলাদেশ দলের জন্যে অম্লমধুর। ভালো - খারাপের মিশেলে কেটেছে সময়। শুরুটা ভালো হলেও শেষটা রাঙাতে পারেনি দল। খুব করেই সুযোগ ছিল সেমিফাইনালের। একটু এদিক-সেদিক হলেই ভিন্ন হতে পারতো গল্পটা। তবুও কাগজে-কলমে এটাই বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে বাংলাদেশ তিন ম্যাচে জয় লাভ করেছে। এর আগে কখনো এক আসরে তিন জয় দেখেনি টাইগাররা। দলের এমন সাফল্যের নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুধু তাই নয়, ১৭ বছর পর বিশ্বকাপের সুপার এইটেও পা রাখে তারা। তবে শেষ আটে বিভীষিকাময় সময় পার করে বাংলাদেশ। ফলে সুপার এইটে ভালো না করার ব্যর্থতা নিয়েই ফিরতে হলো দেশে।
চলতি বছরের শুরুতে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয় তাকে। বিশ্বকাপে দল সাফল্য পেলেও ব্যাট হাতে শান্তর পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল না। ৭ ম্যাচে ৯৫.৭২ স্ট্রাইক রেটে ১১২ রান করেন তিনি। ব্যাট হাতে পারফরম্যান্সের কারণেই অধিনায়কত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার কথা উঠছে।
![](https://admin.dhakaprokash24.com/media/content/images/2024June/jalal-yunus-dhakaprokash-20240629184125.jpg)
এ নিয়ে জানতে চাইলে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা শান্তকে ম্যান্ডেট দিয়েছি এক বছরের জন্য। এখন পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি। তাসকিন শুরু করেছে সহ-অধিনায়ক হিসেবে। আমার মনে হয়, সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারে।
কিন্তু এই মুহুর্তে অধিনায়ক পরিবর্তন হবে কি না, ভবিষ্যতেও হবে কি না; এই বিষয় নিয়ে আমি আলোচনা করতে পারব না। সবকিছু বোর্ডের সিদ্ধান্তে হয়। শান্তকে আমরা এই বছরের জন্য ম্যান্ডেট দিয়েছি। বাকিটা বোর্ডের ইচ্ছা।
এবারের বিশ্বকাপে বেশ কয়েকজন ব্যাটার ছিলেন অফ ফর্মে। এ নিয়ে দলকেও ভুগতে হয়েছে। জালাল ইউনুস অবশ্য বলছেন, পারফর্ম করেই দলে এসেছিলেন তারা। ভবিষ্যতেও পারফরম্যান্সেই জোর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জালাল ইউনুস বলেন, আপনি যদি আরও প্রাপ্তির কথা বলেন, তাহলে আমাদের বোলিং বিভাগে প্রাপ্তি আছে। আমাদের পেসার এবং স্পিনাররা ব্রিলিয়ান্ট বোলিং করেছে। বিশেষ করে রিশাদ। নিজেকে প্রমাণ করতে ওর জন্য এটা বড় মঞ্চ ছিল। সে সব মিলিয়ে ভালোই করেছে। সব মিলিয়ে দেখেন, এই বিশ্বকাপে আমরা ভালো খেলেছি।
তিনি আরও বলেন, সাকিব-মাহমুদউল্লাহ কারো নাম নিয়ে বলছি না, যারা পারফর্ম করে সামনে আসবে তারাই খেলবে। এখন যারা খেলছে তারা সবাই পারফর্ম করেই এসেছে। যারা টি-টোয়েন্টি দলে গিয়েছে প্রত্যেকেই সামর্থ্য দেখিয়েই টিমে ছিল। দলের মধ্যে পারফর্ম্যান্সকেই সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।