ভারতীয় বোর্ডকে শর্ত দিয়েছেন গম্ভীর, কোচ হলে ছাঁটাই হতে পারেন কোহলি-রোহিতরা
ছবি: সংগৃহীত
রাহুল দ্রাবিড়ের পর সম্ভবত ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হতে চলেছেন গৌতম গম্ভীর। এরই মধ্যে বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি (সিএসি) বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেটারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সেখানেই গম্ভীর পাঁচটি শর্তের কথা জানিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে। বোর্ড সেগুলো মেনে নিলে তবেই তিনি দায়িত্ব নেবেন।
অবশ্য বিসিসিআই আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও গম্ভীরের শর্তের কথা কিছু জানায়নি। দু’বার বিশ্বকাপ জেতা সাবেক ওপেনারও মুখ খোলেননি। বোর্ড সূত্রেই তার শর্তগুলোর কথা জানা গেছে বলে দাবি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের।
প্রথম শর্ত হচ্ছে, ভারতীয় দলের ক্রিকেট সংক্রান্ত সব বিষয় থাকবে তার নিয়ন্ত্রণে। বিসিসিআই কর্তাদের কোনো হস্তক্ষেপ তিনি মানবেন না।
দ্বিতীয়ত, নিজের পছন্দ মতো সহকারী কোচদের বেছে নিতে দিতে হবে। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং কোচের ব্যাপারে কারও অনুরোধ বা সুপারিশ তিনি শুনবেন না।
তৃতীয়ত, ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাডেজা এবং মহম্মদ শামিকে। চার সিনিয়র ক্রিকেটারের জন্য ভারতীয় দলের দরজা তিনি ওই প্রতিযোগিতা পর্যন্ত খোলা রাখবেন। তারা যদি ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে না পারেন, তা হলে বাদ পড়তে হবে। চতুর্থ শর্ত হচ্ছে, টেস্ট এবং সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য পৃথক দল চাই তার। ক্রিকেটারদের চাপ এবং দক্ষতার কথা বিবেচনা করে দল নির্বাচন হবে।
পঞ্চম ও সর্বশেষ শর্ত হচ্ছে এখন থেকেই ২০২৭ সালের একদিনের বিশ্বকাপের পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করতে দিতে হবে। দলকে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করাই হবে তার প্রধান লক্ষ্য।
রোহিত, কোহলি, জাদেজা এবং শামিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর বাদ দেওয়ার রাস্তা এখন থেকেই খোলা রাখতে চাইছেন গম্ভীর। দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বোর্ড কর্তাদের সম্মতি আদায় করে নিতে চান। তবে টেস্ট ক্রিকেটের দল থেকেও তাদের বাদ দেবেন এমন কিছু বলেননি তিনি।
বিসিসিআই কর্মকর্তাদের একাংশ মনে করছেন, সাদা বলের ক্রিকেটের দল তরুণদের নিয়ে গড়তে চান গম্ভীর। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই তরুণদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট সময় দিতে চাইছেন। চার সিনিয়র ক্রিকেটারকে হয়তো শুধু লাল বলের ক্রিকেটের জন্য ভাববেন তিনি। তবে আগামী বছর ভারত টেস্ট বিশ্বকাপ জিততে না পারলে রোহিত-কোহলিদের টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে যেতে পারে।