সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করলেন লিটন দাস
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় লিটনের দুঃখপ্রকাশ
রোববার পুনেতে টিম হোটেলে লিটন দাস সাংবাদিকদের বের করে দিয়েছেন, এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করলেন লিটন দাস। তিনি বলেছেন, তিনি বুঝতে পারেননি সেখানে এত গণমাধ্যমকর্মীরা ছিলেন, তাই তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু আসলে কী হয়েছিল পুনেতে লিটন এরপর কী বললেন?
ফেসবুক পোস্টে লিটন হাত জোর করা একটি ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, গতকাল টিম হোটেলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আসলে আমি বুঝতে পারিনি, সেখানে এত গণমাধ্যমকর্মীদের অবস্থান ছিল। হুট করে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। মিডিয়ার প্রতি আমি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার পেছনে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য।
ঘটনাটা গতকালকের। চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দল এখন পুনেতে অবস্থান করছে। এই ভেন্যুতে ১৯ অক্টোবর স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ। তার আগে তিন দিনের ছুটি পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। যে যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ জিম, সুইমিং করেছেন। কেউ আবার শহরের এদিক ওদিক উপভোগ্য সময় কাটাচ্ছেন।
টানা দুই ম্যাচে হারের গ্লানি ভুলে প্রত্যেকে হাসিখুশিই ছিলেন। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল লিটন। ক্রিকেটারদের আসা-যাওয়ার ফাঁকে গণমাধ্যমকর্মীরা নিজেদের কাজও সেরে নিচ্ছিলেন, কাউকে বিরক্ত করা ছাড়া। হোটেলের স্টাফরাও ছিলেন বেশ সাবলীল। কিন্তু আকস্মিকভাবেই সংবাদকর্মীদের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ান লিটন!
গাড়ির উঠার আগে একজন নিরাপত্তাকর্মীকে ডাক দিয়ে লিটন বিরক্তি ভরা কণ্ঠে বলে উঠেন, মিডিয়া এখানে কেন? আমার ছবি তুলছে কেন? ওখানেই লিটন থামেননি। ভেতরে থাকা ম্যানেজারকে ডেকে আনেন। লিটনের এই প্রতিক্রিয়ার পর নিরাপত্তাকর্মী সাংবাদিকদের কাছে এসে বিনয়ের সঙ্গে বলেন, ‘আপনাদের খেলোয়াড় অভিযোগ তুলেছেন। আপনাদের বেরিয়ে যেতে হবে।
কী অভিযোগ করেছেন তা জানতে চাইলে সরাসরিই তারা উত্তর দিয়েছেন, ‘আপনারা এখানে কেন এসেছেন সেটা নিয়েই তার আপত্তি।
খুব বেশি দিন আগের ঘটনা নয়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের আগে অনুশীলন চলছিল। লিটন অপেক্ষমান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পরে তিনি কথা বলবেন। দুপুর তিনটা বেজে গেলেও লিটনের খবর নেই। একাডেমি মাঠ থেকে ফেরার পথে জানান কথা বলবেন না। তখন এক সাংবাদিক লিটনকে বলেন, ‘আপনার জন্য আমরা না খেয়ে অপেক্ষা করছি। লিটনের পাল্টা জবাব ছিলো, ‘আমি কি আপনাকে খেতে নিষেধ করেছি।