বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে বিধস্ত করে বাংলাদেশের দাপুটে জয়
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ। শনিবার সাকিব আল হাসানের দল হারাল আফগানিস্তানের। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শাকিব আল হাসান। আফগানিস্তান তোলে ১৫৬ রান। জবাবে ৩৪.৪ ওভারে ৪ উইকেটে জয়ের জন্য ১৫৮ রান তুলে নেন সাকিব-মুশফিকরা।
মাস দুয়েক আগে অধিনায়কত্বে পরিবর্তন, ওপেনিং জুটিতে মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো পরিবর্তন সবমিলিয়ে কিছুটা হলেও মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। তবে মাঠ আর মাঠের বাইরের এসব বিতর্ক পারফরম্যান্স দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভারত মিশনের শুরুটাও রাঙাল সাকিব আল হাসানের দল।
ইনিংসের শুরুটা খুব খারাপ করেননি আফগানেরা। রহমানুল্লাহ গুরবাজ় ওপেন করতে নেমে ৬২ বলে ৪৭ রান করেন। ৪টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। আফগানিস্তানের অন্য ব্যাটারেরা কেউই বড় রান পেলেন না। ফলে তৈরি হল না বড় জুটি। প্রতিপক্ষকে কঠিন লক্ষ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে যা জরুরি। ইব্রাহিম জ়াদরান (২২), রহমত শাহের (১৮) ভাল শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। দলকে ভরসা দিতে পারলেন না অধিনায়ক হাসমতুল্লা শাহিদিও (১৮)। শেষ দিকে ব্যাট হাতে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন আজমতুল্লাহ ওমরজ়াই (২২)।
ধর্মশালার ২২ গজে বাংলাদেশের জোরে বোলারদের পাশাপাশি সাফল্য পেলেন স্পিনারেরাও। সাকিবের দলের সফলতম বোলার মেহদি হাসান মিরাজ ২৫ রানে ৩ উইকেট নিলেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক নিজেও ৩ উইকেট নিলেন ৩০ রান খরচ করে। ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য পেলেও বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। তানজ়িদ হাসান (৫) এবং লিটন দাস (১৩) দ্রুত ফিরে যান। দলের ইনিংসের হাল ধরেন তিন নম্বরে নামা মিরাজ এবং চার নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা তুললেন ৯৭ রান। মিরাজ ৫টি চারের সাহায্যে ৭৩ বলে ৫৭ রান করেন। শান্ত শেষ পর্যন্ত ২২ গজে থেকে দলকে জয় এনে দিলেন। বল হাতে সাফল্য পেলেও ব্যাট হাতে রান পেলেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। শান্তর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন মুশফিকুর রহিম (২)। শেষ পর্যন্ত শান্তর ব্যাট থেকে এল ৮৩ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারি।
আফগান বোলারদের কেউই তেমন দাগ কাটতে পারলেন না প্রথম ম্যাচে। কিছুটা ভাল বল করলেন ফজ়লহক ফারুকি। তিনি ১৯ রানে ১ উইকেট নিলেন। ওমরজ়াই ৯ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন। বল হাতে সাফল্য পেলেন না রশিদ খান। তিনি ৪৮ রান খরচ করলেও কোনও উইকেট পাননি।