ম্যাচ বাঁচাতে লড়ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল
উইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভালো একটা পূঁজি দাঁড় করিয়ে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করছে স্বাগতিক বাংলাদেশ ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ইসলামের ৭৩ ও শাহদাত হোসেন দিপুর ৫০ রানের পর ইরফান শুক্কুর অপরাজিত ৬৪ রানে ভর করে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৪ রান।
হাতে ৪ উইকেট নিয়ে এগিয়ে আছে ১৬৬ রানে। প্রথম ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ২৩৭। উইন্ডিজ ‘এ’ দল তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৪৫ রান করে অলআউট হয়েছিল। শুক্রবোর শেষ দিন ইরফানের সঙ্গে ১৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন নাঈম হাসান।
তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ‘এ’ দল যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, তাতে করে ম্যাচ বাঁচানোই হবে প্রধান লক্ষ্য। ইরফান ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান নেই। নাঈম হাসান ছাড়া তানজিব হাসান সাকিব, ‘তানভীর ইসলাম ও সৈয়দ খালেদ আহমেদকে নিয়ে ইরফান দলের লিড কতোটা বাড়িয়ে নিতে পারেন, তারোপর নির্ভর করছে ম্যাচের গতিপথ। বাংলাদেশ ম্যাচ ড্র করবে, না হারবে!
দুই দলের সিরিজে এই ইনিংসেই স্বাগতিকরা এখন পর্যন্ত সেরা সংগ্রহ করেছ। প্রথম চার দিনের ম্যাচের উভয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ছিল ২৬৪ ও ৭ উইকেটে ১৮৭। বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে তিন তিনটি হাফ সেঞ্চুরি হওয়া পরও অন্যদের ব্যর্থতায় ৬৬ ওভার খেলে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে হারাতে হয় উইকেট ৬টি। যে কারণে উইন্ডিজকে ৩৪৫ রানে অলআউট করার সুবিধা আর ভোগ করতে পারেনি।
সফরকারিরা আগের দিনের ৬ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে বাকি ৪ উইকেটচ হারিয়ে ৭৭ রান যোগ করে অলআউট হয়ে ১০৮ রানে এগিয়ে থাকে। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অধিনায়ক জসুয়া ডি সিলভা ও কেভিন সিনক্লিয়ার জুটি ভাঙার পর বাকিরা আর বেশি সময় টিকতে পারেননি। তানজিম হাসান সাকিব একাই তুলে নেন এই ৪ উইকেট।
জসুয়া ডি সিলভা ৯ ও সিনক্লিয়ার ১ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৬৩ রান যোগ করেন। সিনক্লিয়ার ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৩২ রান করে তানজিম হাসান সাকিবের বলে বোল্ড হওয়ার পর জর্ডান ২, ফিলিপ ৪ ও ম্যাকঅ্যালিস্টার ০ রান করে আউট হন। ডি সিলভা ১১২ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। তানজিম ৫৯ রানে নেন ৪ উইকেট। সাইফ হাসান ২ উইকেচ নিতে খরচ করেন ৩৭ রান। এ ছাড়া, ১টি করে উইকেট নেন খালেদ, নাঈম হাসান ও তানভীর ইসলাম।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা ব্যাট করতে নামার পর জাকির (১৩) ও সাইফের (১৬) উইকেট দ্রুত হারালেও তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাদমান ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ (২৮) ৫৬ ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাদমান ও শাহাদত ৬৮ রান যোগ করে দলের অবস্থা কিছুটা ভালো করে তুলেন। সাদমান ১২৭ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৭৪ রান করে জর্ডানের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে বিদায় নেন। সিনক্লিয়ারের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ২ রান নিয়ে ৯৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। অধিনায়ক আফিফ এসে মাত্র ৪ রান করে সিনক্লিয়ারের বলেই আথানাজের গাতে ধরা পড়ে বিদায় নিলে বাংলাদেশের চাপ একটু বেড়ে যায়। এই চাপ আরও ঘনিভুত হয় শাহদাত হোসেন দিপু হাফ সেঞ্চুরি করেই আউট হয়ে গেলে।
ম্যাক্যালিস্টারের বলে ফ্লিক করে স্কয়ার লেগে সিঙ্গেল রান নিয়েই তিনি ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর আর রান বাড়তে পারেনি। ২ বল পরই আউট হয়ে যান। তখন দলের রান ছিল ৬ উইকেটে ২০৯। এই চাপকে আর বাড়তে দেননি ইরফান ও নাঈম জুটি বাধার পর। দুই জনে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৬৫ রান যোগ করে অবিচ্ছিন থাকেন। আথানাজের বলে ফাইন লেগে ২ রান নিয়ে তিনি হাফ সেঞ্চুরি পূর্ন করেন। বল খেলেন ৭০টি। অনেকটা আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করে ইরফান ৮৫ বল ১১ চারে ৬৪ ও নাঈম হাসান ৩১ বলে ২ চারে ১৪ রান করে আছেন অপরাজিত। সিনক্লিয়ার ৭৬ রানে ৩টি ও জর্ডান ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।
এমপি/এমএমএ/