সালাউদ্দিনকে ক্ষমা করল না বিএসপিএ
বেফাঁস মন্তব্যের পর ক্ষমা চেয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। কিন্তু ছাড় দেয়নি বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ)।
বাফুফে সভাপতিকে বিএসপিএ’র অনারারি সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। বুধবার (৫ মে) সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. সামন হোসেন স্বারক্ষিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য।
সম্প্রতি বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগ মুহূর্তে সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সালাউদ্দিন। তার সুরে সুর মিলিয়ে সংবাদকর্মীদের কটাক্ষ করেন সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। তাদের সেই আলাপ ফাঁস হওয়ার পরই তোলপাড় শুরু হয়েছে দেশের ফুটবল পাড়ায়।
বিএসপিএ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সালাউদ্দিন ও নাবিল ক্রীড়া সাংবাদিকদের নিয়ে সম্প্রতি যেসব আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, বিএসপিএ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। তারা শুধু সাংবাদিকদের নয়, তাদের পরিবার এমনকি সাংবাদিকদের মা-বাবাকে পর্যন্ত কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এটা সাংবাদিক সমাজকে ভীষণ আহত করেছে।’
একজন লিজেন্ডারি খেলোয়াড় হিসেবে বাফুফে সভাপতি পদে বসার পর সালাউদ্দিনকে ২০১২ সালে বিএসপিএ সম্মানসূচক অনারারি সদস্য পদ দিয়ে আপন করে নিয়েছিল। পরীক্ষিত ক্রীড়া সংগঠক, লিজেন্ড খেলোয়াড় এবং মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংগঠকদের অনারারি সদস্য পদ দেওয়ার রেওয়াজ আছে সংগঠনটির।
বিএসপিএ সাবেক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান ও বর্তমানে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামালসহ অনেক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে সম্মানিত করেছে অনারারি সদস্য পদ দিয়ে।
একইভাবে সালাউদ্দিনকে অনারারি সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তার আচরণ, বক্তব্য সবকিছুই এই ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের মতাদর্শের পরিপন্থী।
সালাউদ্দিনের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ক্রীড়া সাংবাদিকদের আত্মসম্মানে আঘাত হেনেছে। তাই বিএসপিএর কার্যনির্বাহী কমিটি আজ জরুরি সভা করে সালাউদ্দিনকে অনারারি সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে-এমনটাই জানানো হয়েছে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
এমএমএ/