ঈদে তানিয়ার ‘শপিং’ খুবই পছন্দ
ঈদ এলেই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন সাবেক জাতীয় নারী সাঁতারু চ্যাম্পিয়ন মাহফুজা রহমান তানিয়া। স্মৃতির ভেলায় ভেসে চলে যান ছোট বেলা। যেখানে ঈদের দিন খুব ভোরে উঠে গোসল করে নতুন জামা-কাপড় পরে চলত ‘সালামি’ সংগ্রহ।
সে সময় ৫ টাকা করে পেতেন সালামি। এতে করেই অনেক টাকা জমা হয়ে যেত। তানিয়া বলেন, ‘ছোট বেলা বাড়ি বাড়ি যেতাম। কিন্তু কিছুই খেতাম না। শুধু সালামিটা নিয়েই চলে আসতাম।’
ঈদের দিন একাধিক নতুন জামা পরতেন তানিয়া। সকালে একটা। দুপুরে একটা। আবার বিকালে একটা। ঈদের নতুন জামা কেনার পর তা লুকিয়ে রাখতেন। যাতে করে ঈদের আগে কেউ ভুলেও দেখতে না পারে। সবচেয়ে ‘আনকমন’ ড্রেসটাই তিনি কিনতেন।
শপিংয়ের প্রতি আবার তানিয়ার রয়েছে ভীষণ দুর্বলতা। ছোট বেলা বাবার সঙ্গে গিয়ে কেনা হতো একাধিক জামা। আর এখন নিজেকে কিনতে হয়। শশুড় বাড়ির আর নিজের বাড়ির মানুষদের জন্য তানিয়া নিজেই কেনা-কাটা করে থাকেন। এটা করতে তার ভীষণ লাগে। সবার জন্য কেনাকাটা করার পর তানিয়া নিজের জন্য করে থাকেন। কিন্তু সবার শেষে নিজের জন্য করলেও সেখানে কিন্তু কমতি থাকে না। তানিয়ার ভাষায় ‘ভরপুর’।
তানিয়া এবার ঈদ করবেন নিজের শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইলের থানাপাড়ায়। ঈদের দিন তাকে বাড়ির পুরুষ মানুষদের জন্য বিশেষ আয়োজন করতে হয। নামাজ পড়ে কবর জিয়ারত করে সব পুরুষ মানুষ আসেন একসঙ্গে। সবাই একত্রে বসে কোরমা-পোলাও খেয়ে থাকেন। বিকালে ফুফু শাশুড়িরা আসেন। আবার রাতে তাদের বাড়িতে গিয়ে খাওযা হয়। এভাবেই কেটে যায় ঈদের দিন।
ছোট বেলা যেমন তানিয়া অনেক সালামি আদায় করতেন, এখনো একই কাজটি করে থাকেন। তবে আদায় করে নয়। দিয়ে। দেবর, দেবরের বউ, তাদের সন্তানদের সালামি দিতে হয়।
এমপি/এমএমএ/