দিনটি আর নিজেদের করে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ
২১৪ রানে আয়ারল্যান্ডকে অলআউট করে দিনটি যদি বাংলাদেশের হয়ে উঠে, শেষ সময়ে তা আর কিন্তু বলা যাচ্ছে না। কারণ মাত্র ১০ ওভার খেলার সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশ দল নিজেদের উইকেট অক্ষত রাখতে পারেনি। ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে। শেষ বিকালের এই চিত্রনাট্যে নবাগত আইরিশরা ম্যাচে ফেরার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে। এখনো ১৮০ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আগামীকাল (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশকে তাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কাজটি আবার শুরু করতে হবে ব্যাট হাতে।
বিপিএল থেকে শুরু। তারপর ইংল্যান্ড হয়ে আয়ারল্যান্ড- নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট ছিল অশান্ত। কিন্তু সেই অশান্ত মনোভাবকে এবার শান্ত করে দেন আয়ারল্যান্ডের পেসার মার্ক অ্যাডায়ার। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বল, যা ছিল আবার নাজমুলের প্রথম বল, সেই বলেই নাজমুল বোল্ড হয়ে যান। ব্যাটের কানায় লেগে বল স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে।
প্রথম ওভারেই উইকেট হারানোর ধাক্কা বাংলাদেশ সামলে উঠছিল তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের ব্যাটে। বেশ গুছিয়েও এনেছিলেন দুইজনে। খেলছিলেন দেখে-শুনে। জুটিতে তারা ৩২ রান যোগও করে ফেলেন। দিনের বল বাকি আর মাত্র একটি। তার তখনই ঘটে বিপদ। স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তামিম। বলে কিছুটা টার্ন থাকায় ব্যাটের আগায় লেগে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ চলে যায় মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে। তিনি আর কোনো ভুল করেননি। এরপরই দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।
টেস্ট শুরুর আগে পূর্বাভাস ছিল পেসারদের কথা বলবে পিচ। পিচে আবার সবুজের আবরণও ছিল। যে কারণে এরকম পূর্বাভাস। কিন্তু মাঠের পরীক্ষায় হয়েছে উল্টেো। পিচ কথা বলছে স্পিনারদের পক্ষে। আয়ারল্যান্ডের ১০ উইকেটের ৭টিই নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাইজুল ৫টি, মিরাজ ২টি।
এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারত যদি সাকিব আল হাসানও তাদের মতো করে বোলিং করতেন। যেখানে তাইজুল ২৮ ও মিরাজ ১৭.২ ওভার বোলিং করেছেন, সেখানে সাকিব ৬৫তম ওভারে বল হাতে তুলে নিয়ে করেন মাত্র ৩ ওভার। বাংলাদেশের তিন পেসার এবাদত-শরিফুল-খালেদ মিলে করেছেন মোটে ২৯ ওভার। পরে আয়ারল্যান্ডের ১০ ওভারের ৩ ওভার করেছেন তাদের এক স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। ম্যাকব্রিনের করা দিনের শেষ বল যেভাবে টার্ন করেছে, তাতে করে আগামীকাল দ্বিতীয় দিনও যদি এই রকম টার্ন অব্যাহত থাকে তাহলে খেলার মোড় কোন দিকে যায় তা বলা মুশকিল।
এমপি/এসজি