তাইজুলের ঘূর্ণিতে কুপোকাত আয়ারল্যান্ড
তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় সেশনে অবশিষ্ট ৪ উইকেট তুলে নিয়ে আয়ারল্যান্ডেকে ২১৪ রানে অলআউট করে প্রথম দিনটি বাংলাদেশ নিজেদের করে নিয়েছে। তাইজুল ৫৮ রানে নেন ৫ উইকেট।
আয়ারল্যান্ডের ইনিংস ২১৪ পর্যন্ত গেলেও আরও আগেই অলআউট হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দুই সেশনে ৩টি করে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে অল্প রানেই অলআউট করার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের। কারণ একেতো টেস্ট পরিবারের নবীন সদস্য, সেখানে আবার আউট টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। তারা আর কতক্ষণইবা টিকতে পারবে। কিন্তু সেই লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাই প্রতিরোধের ডাক দিয়ে দলকে দুইশ রান অতিক্রম করে নিয়ে যান। শেষ ৪ উইকেটে রান যোগ হয়েছে ৯০।
দুই দেশের একমাত্র টেস্টে পিচের আচরণও ছিল অবাক করার মতো। সবুজের মিশ্রণ থাকা উইকেটে দাপট দেখিয়েছেন স্পিনাররা। পতন হওয়া ১০ উইকেটের ৭টিই নিয়েছেন দুই স্পিনার তাইজুল ও মিরাজ। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারত, যদি সাকিব আল হাসান আরও আগেই বল তুলে নিতেন হাতে। তিনি আক্রমণে আসেন ৬৫তম ওভারে। ততক্ষণে আইরিশদের ৭ উইকেট পড়ে গেছে। আর সাকিব বোলিং করেন মাত্র ৩ ওভার। তাইজুল ৫৮ রানে নেন ৫ উইকেট। এটি তার ক্যারিয়ারে ১১তম বার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া। মিরাজ ২ উইকেট নেন ৪৩ রানে। এ ছাড়া এবাদত ৫৪ রানে ২টি ও শরিফুল ২২ রানে নেন ১টি উইকেট।
১২৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর দলের রানকে ২১৪ পর্যন্ত নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখেন লরকান টাকার, মার্ক অ্যাডায়ার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। সপ্তম উইকেট জুটিতে লরকান ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন ৩৫ রানের জুটি গড়েন। ম্যাকব্রিনকে ১৯ রানে এবাদত ফিরিয়ে দিয়ে জুটি ভাঙেন। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে লরকান ও মার্ক আবার দাঁড়িয়ে গিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়ে দলকে দুইশ পার করার রাস্তা তৈরি করে দেন। লরকানকে তাইজুল উইকেটের পেছনে লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন। ৭৪ বলে ৩ চারে ৩৭ রান করেন লরকান। এরপর এগোচ্ছিলেন মার্ক অ্যাডায়ার। কিন্তু তাকেও ৩২ রানে শিকার করে তাইজুল তার ৫ উইকেটের চক্র পূর্ণ করেন। দলীয় ২১৪ রানেই গ্রায়াম হিউমকে আউট করে মিরাজ আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের ইতি টেনে দেন।
এমপি/এসজি