প্রাইম ব্যাংককে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষেই আবাহনী
এনামুল হক বিজয়ের মারমুখী ১৫৩ রানের সঙ্গে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ৯৪ রানের ইনিংসের পর তানজিম হাসান সাকিবের ৪ উইকেটে প্রাইম ব্যাংককে ১৪১ রানের বিশাল ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে আবাহনী। আবাহনীর ৬ উইকেটে ৩৩৬ রানের জবাব দিতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ৩৭.৫ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ১৯৫ রানে। লিগে আবাহনীর এটি ছিল ৭ ম্যাচে সপ্তম জয়। পয়েন্ট টেবিলে তারা নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। প্রাইম ব্যাংকের ছিল সমান ম্যাচে দ্বিতীয় হার।
বিকেএসপির ৩ নাম্বার মাঠে প্রাইম ব্যাংক টস জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে যেন নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারে। দুই ইনফর্ম ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটেই চাপা পড়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। উদ্বোধনী জুটিতে রান আসে ৩১.৫ ওভারে ১৮৩। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে নাঈম ৯৪ রানে আউট হন করিম জানাতের বলে শাহদাত দিপুর হাতে ধরা পড়ে। তার ১০২ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা ও ৯টি চার।
নাঈম আউট হলেও বিজয় সেঞ্চুরি করেন। আফিফকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২.২ ওভারে তিনি যোগ করেন ১০৯ রান। এনামুল ৯৯ বলে চলতি লিগে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর আরও মারমুখী হয়ে উঠেন। ১২৭ বলে ৫ ছক্কা ও ১৩ চারে ১৫৩ রান করে রুবেলের বলে শাহদাত দিপুর হাতে ধরা পড়েন। আফিফও তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৪৭ বলে ২ ছক্কা ও ৪ চারে ৫৩ রান করে তিনি করিম জানাতের বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ধরা পড়েন। করিম জানাত ৬৩ রানে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন রুবেল হোসেন।
টার্গেট অনেক বড়। সেখানে আবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলার জন্য দলে নেই তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের মতো তারকা ব্যাটসম্যান। তাই তারা লড়াই-ই করতে পারেনি। ব্যাট করতে নেমে একের পর এক হারাতে থাকে উইকেট। কেউ যেমন হাল ধরতে পারেননি। তেমনি গড়ে উঠেনি কোনো জুটিও। যে কারণে মাত্র ৩৭.৫ ওভারে ১৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে ইয়াসির আলী চৌধুরীর ব্যাট থেকে। এ ছাড়া নাসির হোসেন ২৮ ও শাহদাত দিপু ২৫ রান করেন। তানজিম হাসান সাকিব ৩৪ রানে নেন ৪ উইকেট।
এমপি/এসজি