বিজয়ের আরেকটি সেঞ্চুরি
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বিশ্বের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এনামুল হক বিজয় গত মৌসুমে ১ হাজার ১৩৮ রান করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন। সেঞ্চুরি ছিল ৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ৯টি। লিগের এমন নৈপুণ্য তাকে জাতীয় দলে আবার ফিরিয়ে আনে। কিন্তু জাতীয় দলে তিনি আবার নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। পরে বাদ পড়েন।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে কী হবে? লিগে আবার বিজয় রানবন্যায় মজে আছেন। এবারের মৌসুমে ৭ ম্যাচ খেলে ৩ সেঞ্চুরি আর ২ হাফ সেঞ্চুরিতে রান করে ফেলেছেন ৫৭২। আজ (৪ এপ্রিল) বিকেএসপিতে তিনি সেঞ্চুরি করেন তার গতবারের ক্লাব প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে। খেলেন ১৫৩ রানের ইনিংস।
গতবার লিগ শেষ না হতেই এনামুল হক বিজয়কে দলে নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকে এক একটি দল। তালিকায় ছিল আবাহনী, মোহামেডান। বিজয় শেষ পর্যন্ত নাম লেখান আবাহনীতে। এই ক্লাবে এসেও বিজয় তার রানের খাতা খুলেই চলেছেন।
লিগের প্রথম ম্যাচেই ব্রাদার্সের বিপক্ষে ১২৩ রানের ইনিংস খেলে মৌসুম শুরু করেন বিজয়। পরের ম্যাচে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলেন ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস। শুধু মোহামেডানের বিপক্ষে তিনি ১৭ রান করে আউট হয়েছিলেন। গাজী গ্রুপের বিপক্ষে করেন ৩৮ রান। তারপর টানা তিনটি ইনিংসই ছিল পেটমোটা। রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে তিনি অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেলেন। টার্গেট ছুঁয়ে ফেলায় তিনি আর সেঞ্চুরি পর্যন্ত যেতে পারেননি। ঢাকা লিওপার্ডসের বিপক্ষ পরের ম্যাচে ১০৭ রানের ইনিংস খেলার পর আজ খেলেন ১৫৩ রানের ইনিংস।
রুবেল হোসেনের স্লোয়ার ডেলিভারি মিড উইকেটে ঠেলে রান নিতে গিয়েও থেমে গেলেন এনামুল হক। তবে ফিল্ডার ধরতে পারলেন না বল, এনামুল ছুটতে শুরু করেন। ১২৭ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা ও ১৩টি চার। সব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার ১৮তম সেঞ্চুরি।
ক্রিজে যত সময় পার করেছেন এনামুল হক বিজয় ততই দুর্ধর্ষ হয়ে উঠেছেন। প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করতে বল খেলেন ৬২টি। সেখান থেকে সেঞ্চুরি করেন ৩৭ বল খেলে। সেঞ্চুরি থেকে দেড়শ রান স্পর্শ করেন ২৬ বলে। আউট হন ৪৫তম ওভারে রুবেলের বলে বিশাল চৌধুরীর হাতে ধরা পড়ে।
যেভাবে এনামুল এগোচ্ছেন, তাতে করে রান করার এই ধারা বজায় থাকলে তিনি গতবারের রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাবেন।
এমপি/এসজি