২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সেশনও বাংলাদেশের
২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে আর আয়ারল্যান্ডকে ফিরে আসতে দেয়নি। প্রথম সেশনের মত দ্বিতীয় সেশনও বাংলাদেশ নিজেদের করে নিয়েছে। দ্বিতীয় সেশনে আয়ারল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ৮০ রান। প্রথম সেশনে তারা করেছিল ৩ উইকেটে ৬৫ রান। দ্বিতীয় সেশন শেষে তাদের রান ৬ উইকেটে ১৪৫।
প্রথম সেশনে ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা আইরিশরা হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফারের ব্যাট ভরে করে দ্বিতীয় সেশনে দারুণভাবে ফিরে আসার পথে ছিল। ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর প্রথম সেশনের বাকি সময় এই দুই জন পার করে দিয়ে দ্বিতীয় সেশনেও প্রতিরোধের দেয়াল গড়ে তুলেছিলেন। জুটিতে ৭৪ রান আসার পর ভাঙন আসে। মেহেদি হাসান মিরাজ অভিষেকেই হাফ সেঞ্চুরি করা হ্যারি টেক্টরকে ৫০ রানে ফিরিয়ে দিয়ে যে আঘাত হেনেছিলেন, সেখানে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে। নতুন ব্যাটসম্যান পিটার মুর ১ রান করে ও কার্টস ৩৪ রান করে ফিরে যান। পরের দুই জনকেই ফেরান তাইজুল।
হ্যারি টেক্টর ৮০ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চারে অভিষেকেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর রান আর বাগাতে পারেননি। এ সময় তিনি বল খেলেন আরও ১২টি। পরে মিরাজের অফ স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের বল টেনে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান। বল তার ব্যাটে লেগে স্ট্যাম্পে গিয়ে আঘাত হানে।
জিম্বাবু্রেয়র হয়ে ৮ টেস্ট খেলা পিটার মুর আইরিশ নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন পরিচয় খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি। সর্বশেষ টেস্ট তিনি জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেছিলেন এই মিরপুরেই। আবারও সেই মিরপুরেই তার নতুন করে অভিষেক হয়। কিন্তু ১ রান করে তাইজুলের বলে মিড অফে তামিম ইকবালের সহজ ক্যাচে পরিণত হন। বড় বিপর্যয় আসে এরপর। হ্যারির সঙ্গে পিচে জমে যাওয়া দারুণ খেলতে থাকা কার্টিসকেও ফিরিয়ে দেন তাইজুল তার ঘূর্ণিতে। শিকার হন এলবিডব্লিউর। জীবন বাঁচাতে রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৩ উইকেটে ১২২ থেকে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১২৪। হালকা হয়ে আসা চাপ আবার ঘনীভূত হয়ে পড়ে। এ রকম অবস্থায় লরকান ও টাকার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন চা বিরতি পার করে দেন। লরকান ১১ ও অ্যান্ডি ১০ রান নিয়ে আবার ব্যাট করতে নামবেন।
দুই সেশন পার হয়ে গেলেও সাকিব আল হাসান বল হাতে তুলে নেননি। অথচ পিচ থেকে স্পিনাররা ফায়দা পাচ্ছেন বেশি। দ্বিতীয় সেশনের ৩ উইকেটই তারা তুলে নিয়েছেন। সব মিলিয়ে আয়ারল্যান্ডের পতন হওয়া ৬ উইকেটের ৪টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। তাইজুল ৩টি, মিরাজ ১টি। এ ছাড়া এবাদত ও শরিফুল নিয়েছেন ১টি করে।
এমপি/আরএ/