বৃষ্টি আইনে কলকাতাকে হারাল পাঞ্জাব
ব্যাটিং আর বোলিংয়ে ধুঁকলেও আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে শেষ ৪ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ৪৬ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি শেষ লড়াইটা লড়তে দিল না কলকাতাকে; জয়ের হাসি ফোটায় পাঞ্জাব শিবিরে।
শনিবার (১ এপ্রিল) মোহালিকে ঘরের মাঠে প্রথম ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাঞ্জাব। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত ১৬ ওভারে কলকাতার সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৪৬ রান। বৃষ্টি আইনে পাঞ্জাব জয় পায় ৭ রান ব্যবধানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিল পাঞ্জাব। যদিও উদ্বোধনী জুটিতে বেশিদূর এগুতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় এবং ব্যক্তিগত ২৩ রানে সাজঘরে ফেরেন প্রভসিমরন সিং। তাকে থামান কলকাতার কিউই পেসার টিম সাউদি।
উইকেট পতন হলেও থামেনি পাঞ্জাবের রানচাকা, যা ভালোভাবেই সচল রাখেন শিখর ধাওয়ান এবং ভানুকা রাজাপাকসে। দুজনের ৮৬ রানের জুটিতে শক্ত ভীত পায় দলটি। ইনিংসের ১১তম ওভারে উমেশ যাদব যখন আউট করেন লঙ্কান কিপার-ব্যাটারকে, তখন ৫০-এর ঘরে ভানুকা এবং পাঞ্জাবের সংগ্রহ ছিল ১০৯ রান।
প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ধাওয়ানকে (৪০) শিকার বানান বরুন চক্রবর্তী। এরপর লম্বা কোনো ইনিংস খেলতে পারেনি বাকি ব্যাটারদের কেউ। তবে জিতেশ শর্মা (২১), সিকান্দার রাজা (১৬), স্যাম কুরান (২৬*) এবং শাহরুখ খানের (১১) ছোট ছোট অবদানে বড় পুঁজি পায় পাঞ্জাব।
রান তাড়ায় কলকাতার শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ৪.২ ওভারে মাত্র ২৯ রানে তিন টপ-অর্ডার ব্যাটারকে হারায় তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মন্দীপ সিং (২) এবং অনুকুল রয়কে (৪) শিকার বানান আর্শদীপ সিং। এরপর কিপার-ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে (২২) প্যাভিলিয়নে পাঠান নাথান এলিস।
শুরুর ধাক্কা নিতিশ রানা ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ব্যাটে সামলে নেয় কলকাতা। দুজনের ৩০ বলের প্রতিরোধে দলের খাতায় যোগ হয় ৪৬ রান। তাদের জুটি ভাঙেন রাজা। জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার আউট করেন নিতিশকে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৭ বলে ২৪ রান করেন কলকাতা অধিনায়ক।
রিংকু সিংকে (৪) উইকেটে থিতু হতে দেননি রাহুল চাহার। এরপর আন্দ্রে রাসেল ঝড়। ১৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান করে কলকাতাকে ম্যাচে ফেরান ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। তাকে থামিয়ে লড়াই জমিয়ে তুলেন ইংলিশ পেসার কুরান। পরক্ষণেই ভেঙ্কটেশ (৩৪) আর্শদীপের তৃতীয় শিকার হলে ফের ব্যাকফুটে চলে যায় কলকাতা।
ভেঙ্কটেশ আউট হওয়ার তিন বল পরই শুরু হয় বৃষ্টি, যা আক্ষেপে পোড়ায় শার্দুল ঠাকুর ও সুনীল নারিনকে। কেননা, দুজনের ব্যাট ছিল কলকাতার জয়ের আভাস। শার্দুল ৩ বলে ১ ছক্কায় ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। নারিন ২ বলে ১ ছক্কায় করেছিলেন ৭ রান।
এমএমএ/