নিরপেক্ষ ভেন্যুর গুঞ্জন উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হবে বিশ্বকাপ। পাকিস্তান তাদের ম্যাচ খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে, যা হতে পারে বাংলাদেশে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আইসিসির বৈঠকে।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছিল ক্রিকইনফো। এ নিয়ে গুঞ্জনের ডালপালা বাড়ছিল। এরই মধ্যে নিরপেক্ষ ভেন্যুর গুঞ্জন উড়িয়ে দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পিসিবি চেয়ারম্যান নাজম শেঠি বলেছেন, ‘মিডিয়ার সংবাদে আমি আইসিসির কোনো রেফারেন্স দিইনি বা অক্টোবরে নির্ধারিত ২০২৩ বিশ্বকাপ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করিনি।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এখন পর্যন্ত আইসিসির কোনো ফোরামে আলোচনা করা হয়নি। এই প্রস্তাব...ভারতের ম্যাচগুলো একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এবং বাকিটা পাকিস্তানে খেলার...এসিসির (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) মধ্যে আলোচনা চলছে।’
পিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘একটি শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম মিঃ শেঠির মন্তব্য ভুল উদ্ধৃত করেছে, ভুল ব্যাখ্যা করেছে এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। তারা ধারণা দিয়েছে যে পিসিবির হাইব্রিড মডেলটি আইসিসিতে উপস্থাপন এবং আলোচনা করা হয়েছে, যা বাস্তবে ভুল। পিসিবি শুধুমাত্র এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে এসিসির সঙ্গে আলোচনা করেছে। আইসিসির সঙ্গে বিশ্বকাপ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।’
বিশ্বকাপে পাকিস্তান ম্যাচের জন্য একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুর ধারণাটি প্রথমে আশ্চর্যজনকভাবে সামনে তুলে ধরেন আইসিসির মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খান। তার সেই মন্তব্যের পরক্ষণেই তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অব কন্ট্রোলের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তা। এমনকি আইসিসিও তার মহাব্যবস্থাপকের অযৌক্তিক মন্তব্য থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে।
ওয়াসিম খান বলেছিলেন, ‘আমি জানি না এটি অন্য দেশে হবে কিনা তবে নিরপেক্ষ ভেন্যুর সম্ভাবনা খুব বেশি। আমি মনে করি না যে পাকিস্তান তাদের ম্যাচগুলো ভারতে খেলবে। আমি মনে করি তাদের ম্যাচগুলোও একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। ঠিক ভারতের এশিয়া কাপ ম্যাচের মতো।’
তার ওই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিসিসিআইয়ে শীর্ষ পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘নিরপেক্ষ ভেন্যু নিয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই ওয়াসিম খানের। পিসিবি সিইও’র মতো আচরণ করা বন্ধ করা উচিত তার।’
যাইহোক, গুঞ্জনের বিপরীতে দেওয়া বিবৃতি একটি সতর্ক বার্তার মধ্য দিয়ে শেষ করেছে পিসিবি। তাতে লেখা হয়েছে, ‘বিষয়টা এমন নয় যে সঠিক সময়ে আইসিসি ফোরামে হাইব্রিড মডেলটিকে সমর্থন দেওয়া হবে না।’
এমএমএ/