হোয়াইটওয়াশ করতে নেমে বাংলাদেশই ওয়াশ
ইংল্যান্ডের মতো আয়ারল্যান্ডকে আর হোয়াইটওয়াশ করা হয়নি বাংলাদেশের। হাতছাড়া হয়ে গেল পরপর দুই দেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ হোয়াইটওয়াশ করে জয়ের রেকর্ড। হোয়াইটওয়াশ করা ম্যাচে বাংলাদেশ নিজেরাই ওয়াশ হয়ে গেছে ৭ উইকেটে হেরে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিরিজে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ অলআউট হয় ১২৪ রানে। আয়ারল্যান্ড সফরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয় ১৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করে। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল।
সফরে আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে যে ৫টি ম্যাচ খেলেছে তার প্রতিটিতে বাংলাদেশের দলগত ও ব্যক্তিগত রেকর্ড ছিল ভরপুর। আজ সুযোগ পেয়ে আয়ারল্যান্ডও তার কিছুটা ফিরিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের অলআউট হওয়া ছিল যেমন সিরিজে প্রথম, তেমনি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৪ রানও বাংলাদেশের দলগত সর্বনিম্ন। আর ৭ উইকেটের ব্যবধানে জয় ছিল প্রথম।
বাংলাদেশ যে কয়টি ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে জিতেছে, সেখানে ছিল রানের পাহাড়। একইভাবে বাংলাদেশের বোলাররাও দুর্দান্ত বোলিং করে আইরিশদের মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি। তাই বলে ১২৪ রান করে জয়ের আশা করা। এটা খুবই কঠিন হয়ে যায়। তারপরও সেই কঠিনকে জয় করা সম্ভব যদি বোলাররা সেই রকম আগুন ঝরাতে পারেন। কিন্তু আসল পরীক্ষায় গিয়ে ফেল মারেন বোলাররা। আজ তারা আইরিশদের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেননি।
সিরিজের আগের ৫ ম্যাচে লিটন, রনি, নাজমুল, হৃদয়, মুশফিক, সাকিব যে মারমুখী ব্যাটিং করেছেন, আজ সেটা করে দেখান আইরিশ দলপতি পল স্টার্লিং। খেলেন মারমুখী ইনিংস। করেন ৪১ বলে ৪ ছক্কা ও ১০ চারে ৭৭ রানের ইনিংস। বলা যায় তার কাছেই হার মানেন বাংলাদেশের বোলাররা।
নতুবা ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা বেশ চাপেই ফেলে দিয়েছিলেন আইরিশদের। এসময় তাসকিন রস অ্যাডায়ারকে ৭ রানে ও শরিফুল ৪ রানে লরকান টাকারকে আউট করেন। কিন্তু হ্যারি টেক্টরকে জুটি হিসেবে পেয়ে পল স্টার্লিং আর পেছনে ফিরে তাকাননি। বাংলাদেশের বোলারদের প্রেসার হালকা করে দুইজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭ ওভারে ৬৮ রান যোগ করে দলের সহজ জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেন। ৬৮ রানের জুটিতে বলা যায় হ্যারি তাকে শুধু সঙ্গ দিয়েছেন। কারণ হ্যারির অবদান ছিল মাত্র ১৩ রানের। ৪২ বলের মাঝে তিনি বল খেলেন মাত্র ১৬টি। পল স্টার্লিং৩১ বলে ২ ছক্কা ও ৭ চারে ক্যারিয়ারের ২২তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। জুটি ভাঙে তিনি আউট হলে। রিশাদকে অভিষেক উইকেট দিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ম্যাচসেরাও হন তিনি। এদিকে সিরিজজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্মের কারণে সিরিজ সেরা হয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
কার্টিস ক্যাম্ফার যখন ক্রিজে আসেন, তখন তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৫ রানের। তিনিও এসে হ্যারিকে দর্শক বানিয়ে ৯ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে খেলেন মারমুখী অপরাজিত ১৬ রানের ইনিংস। হ্যারি তখন ১৪ রানে অপরাজিত। রিশাদ ১৯, শরিফুল ২৫ ও তাসকিন ২৮ রানে নেন ১টি করে উইকেট।
এমপি/এসজি