আজ কি তাহলে হোয়াইটওয়াশেরও রেকর্ড
ধারাটা শুরু হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে। একটি করে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ আর পর দিন রাখা হয় না কোনো অনুশীলন। এই ফাঁকে ক্রিকেটারদের কেউ কেউ নিজেদের ব্যক্তিগত কাজ সেরে নেন। কেউ বা যান এদিক-সেদিক ঘুরতে। আবার কেউ কেউ ঐচ্ছিক অনুশীলনও করে থাকেন। এই ধারা বজায় আছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও। ইতোমধ্যে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে। যথারীতি ম্যাচ জেতার পরদিন রাখা হয়েছে বিশ্রাম। আজ শেষ ম্যাচ, যেটি আবার হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচও, ছিল না কোনো অনুশীলন। এই ফাঁকে সাকিব ও মোস্তাফিজ চলে আসেন ঢাকাতে। সাকিব প্রায় বিশ্রামেই কোনো না কোনো কাজে ঢাকায় চলে এসে কাজ শেষে আবার ফিরে গেছেন । এবার তার সঙ্গে যোগ হয়েছেন আবার মোস্তাফিজ। দুই জনেরই ঢাকায় আসার কারণ ছিল আইপিএলে খেলতে যাওয়ার জন্য ভিসা সংক্রান্ত কাজ। দুই জনেই আবার কাজ শেষে চট্টগ্রাম ফিরে গিয়েছেন।
এতেই বুঝা যাচ্ছে আজকের ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ দল কতটা নির্ভার। ইংল্যান্ডকে ‘বাংলাওয়াশ’ করার পর আইরিশদের একই স্বাদ দেয়া যাবে কি না, তা নিয়ে মোটেই চিন্তিত নন খেলোয়াড়রা। পরিবর্তনের ডাক দিয়ে পালে হাওয়া লাগিয়ে সফল হওয়া এ এক অন্য বাংলাদেশ। দুরন্ত, দুর্বার অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে বলা যায় আইরিশদের উড়িয়ে দিয়েছে। দুইটি ম্যাচেই বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জয়রথ থামাতে পারেনি। ২২ ও ৭৭ রানে পায় দুই জয়। দুইটি ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল উন্মাতাল। বোলিং ছিল আগুন ঝরানো। আজকের ম্যাচেও সাফল্যোর সেই নৌকা চালিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি সাকিব বাহিনী।
আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের ১৫০। এমন ম্যাচে যদি আইরিশদের প্রথম দুই ম্যাচের স্বাদ আবার পাইয়ে দেয়, তা’হলে মাইল ফলকের ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার মাধ্যমে। তা’হলে এটি হবে আবার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে বাংলাদেশর টানা দ্বিতীয় হোয়াইটওয়াশ। এরআগে তারা ২০১২ সালে প্রথমবারর মত আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ৩ ম্যাচের সিরিজে।
প্রতিপক্ষ সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা হয়ে যাওয়াতে এবং জয়ের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ‘পরখ’ করে নেওয়ার সূত্র থেকে আজকের ম্যাচে নির্ভার বাংলাদেশ দলের সেরা একাদেশে একাধিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব বেশি। দ্বিতীয় খেলা শেষে এমন আভাস দিয়ে সাকিব বলেছিলেন, ‘ নতুন কিছু খেলোয়াড়কে আমরা পরখ করে দেখতে পারি। তারা ভালো করতে মুখিয়ে আছে।’
১৪ জনের দলে প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ একই একাদশ খেলিয়েছে। পরখ করে নেওয়ার তালিকায় সবার আগে নামটি আছে রিশাদ হোসেনের । এই লিগ স্পিনার দলে ডুকেছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রেসক্রিপশনে। তাই সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি এগিয়ে। তিনি সুযোগ পেলে নাসুম আহমেদ চলে যাবেন একাদশের বাইরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান বন্যায় থাকা উইকেটকিপার জাকের আলী অনিকেরও সম্ভাবনা আছে পরীক্ষা দেয়ার। জাকেরকে জায়গা করে দিতে কাকে বসিয়ে রাখবে টিম ম্যানজমেন্ট তার জন্য তাদের বেশ ‘মেধা’ খরচ করতে হবে। শেষ পর্যন্ত খড়্গ নেমে আসতে পারে শামীম হোসেনের উপর দিয়ে। বাকি থাকেন বাঁহাতি পেসার শরিফল ইসলাম। তাকে বাজিয়ে দেখতে দুর্দান্ত ফমে থাকা তিন পেসার তাসকিন-হাসান-মোস্তাফিজের মাঝ থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্রামে চলে যেতে পারেন তাসকিনই।
এমপি/এসএন