‘তাড়াহুড়া’ করতে গিয়েই সেঞ্চুরি মিস লিটনের

শুরু থেকেই মেরে খেলছিলেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার।কিন্তু তা প্রথম তিন ওভার পর্যন্ত। এই সময় লিটনের চেয়ে রনির রান বেশি ছিল, রনির ১৯ লিটনের ১৬। এরপর এতই বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন যে রনিকে দর্শক বানিয়ে তিনি তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকেন।
মাত্র ১৮ বলে দেশের হয়ে যখন দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করে লিটন যখন নতুন রেকর্ড গড়েন, তখন রনির রান ২২। অর্থাৎ লিটন যখন ৩৪ রান যোগ করে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, তখন রনি ৩ রান যোগ করতে পেরেছিলেন।
এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যায় লিটন কী পরিমাণ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। এই অতি মাত্রায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই লিটনকে সেঞ্চুরি করা থেকে বঞ্চিত করেছে। যা লিটনের ভাষায়
‘তাড়াহুড়া’।
লিটন খেলছিলেন নিখুঁত ইনিংস। মারার বলতো মারছিলেনই, যে বল মারার নয় সে বল পর্যন্ত মেরে রানে পরিণত করে চলেছিলেন। এই মারাটাই তার কাল হয়ে উঠে। এ সময় তিনি কিছুটা ধৈর্যহারাও হয়ে পড়েছিলেন। এই ধৈর্যহারা হওয়ার কারণও ছিল।
৯ ওভার পর্যন্ত বেশ মেরে খেলছিলে লিটন। এর মাঝে আবার রনি আউট হয়ে যান। সাকিব এসে যথারীতি মেরেই খেলছিলেন। কিন্ত দশম ওভার পর হঠাৎ করে রান সংগ্রহে ভাটা পড়ে। ১০ থেকে ১২ এই তিন ওভারে রান আসে যথাক্রমে ৭, ৪ ও ৪। এ সময় লিটন ৮ বল খেলে ৬ রান করেন।
ওয়াইটের করা ১২ নম্বর ওভারের শেষ বল ছিল ওয়াইড। লিটন সেই বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন টাকারের হাতে। এভাবে আউট হওয়া নিয়ে খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, আমার মনে হয় আমি একটু বেশি তাড়হুড়া করতে ছিলাম। মাঝখানে স্পিনাররা ভালো বল করতেছিল৷ উইকেটও হেল্প করতেছিল না। আমি যদি আরেকটু সময় নিয়ে পেস বোলারদের খেলতাম, তাহলে আজকে ৮৩ বা ৮৪ রানের জায়গায় ১০০ হতে পারত।
এমপি/এমএমএ/
