আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ড রানে জিতে সিরিজ বাংলাদেশের

বড়ই বিপদে আছে আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে যেমন রক্ষা পাচ্ছে না, তেমনি নিজেরা পরে ব্যাটিং করেও। অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশকে প্রতিকূল কন্ডিশনেও আটকাতে পারছিল না। কাবু করতে পারছে না। দলগত ও ব্যক্তিগত নিত্যনতুন রেকর্ডের মালায় এবার যোগ হয়েছে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৪ রানের নতুন রেকর্ড, লিটনের ১৮ বলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি আর সাকিব ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট পেয়ে ১৩৬ উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়া।
এই সব অর্জনের দিন আয়ারল্যান্ডকে ৭৭ রানে নত স্বীকার করিয়েছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ রানের জয় এবং সব মিলিয়ে রানের ব্যবধানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। সবচেয়ে বড় জয় পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৮৪ রানে। আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের বড় জয় ছিল ৭১ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ৩ উইকেটে করা ২০২ রানের জবাব দিতে নেমে আইরিশরা করে ৯ উইকেটে করে ১২৫ রান। এই জয়ে বাংলাদেশ সিরিজ জিতে নিয়েছে ২-০ ব্যবধানে। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এটি ছিল দ্বাদশ সিরিজ জয়।
বাংলাদেশ এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৩১ মার্চ চট্টগ্রামেই।
ব্যাট হাতে ২৪ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ২২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব।
টস হওয়ার আগে-পরে মেঘলা ও ঝড়ো আবহাওয়ায় কন্ডিশন যে রূপ ধারণ করেছিল, তাতে করে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যাদেরই ভোগার কথা। কিন্তু সেখানে তারা সাবলীল থেকে রানের পাহাড় গড়ে তুলে। কিন্তু কন্ডিশন স্বাভাবিক হয়ে আসার পর আইরিশরা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের ঝড়ে পড়ে। এই ঝড়ের নাম ছিল সাকিব ঝড়।
ইনিংসের প্রথম বলেই তাসকিন উইকেট নিয়ে পথ দেখিয়েছিলেন। সেখানে পরে প্রলেপ মেখে দেন সাকিব টানা ৫ উইকেট নিয়ে। দলের রান দাঁড়ায় ৬ ওভারে ৬ উইকেটে মাত্র ৪৩। সাকিব ৫ উইকেট নেওয়ার পথে তৃতীয় উইকেটের সময় টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদির সমতায় চলে আসেন। পরে চতুর্থ উইকেট নিয়ে সাউদির ১৩৪ উইকেট টপকে যান। সাকিবের বর্তমান উইকেট ১৩৬টি।
৪৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। কিন্তু কার্টিস ক্যাম্ফায়ার ৩টি করে চার ও ছয় মেরে ৩০ বলে মারমুখী ৫০ রান করলে বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড গড়া আর হয়নি। মার্ক অ্যাডায়ারকে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩২ ও গ্রায়াম হিউমকে (২০) নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৩০ রান যোগ কার্টিস আউট হন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে। তাকে বোল্ড করেন তাসকিন। সাকিব ২২ রানে নেন ৫ উইকেট। ২৭ রান দিয়ে তাসকিন নেন ৩ উইকেট। অপর উইকেট ছিল হাসান মাহমুদের।
এমপি/এসজি
