মাশরাফির ৫ উইকেটে মোহামেডানের লজ্জার হার
কয়েকদিন আগে ভারতের ১১৭ রান অস্ট্রেলিয়া বিনা উইকেটে ১১ ওভারে অতিক্রম করে রেকর্ড করেছিল। আজ বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটেও এমন রেকর্ড হয়েছে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জর কাপ্তান মাশরাফির ৫ উইকেটে প্রতিপক্ষ মোহামেডান মাত্র ৮০ রানে অলআউট হয়ে যায়। সেই রান লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ অতিক্রম করে মাত্র ৮.২ ওভারে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রান তাড়ায় এটি নতুন রেকর্ড। ১০০ ওভারের খেলা শেষ হয় মাত্র ৩১ ওভারে। সময় লাগে ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট।
৫ ম্যাচে সবকটিতে জিতে মাশরাফির দলের পয়েন্ট ১০। সমান ম্যাচে মোহামেডান এখনো কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়ে মাশরাফি তার সিদ্ধান্তকে অর্থবহ করে তুলেন। ৫ নম্বর বল হাতে তুলে নেওয়ার পরই মোহামেডানের ইনিংসে ধস নামে। ২৭ রানে পড়ে শেষ ৯ উইকেট।
মাশরাফি বল হাতে নেওয়ার আগে মোহামেডানের শুরুটা ভালো ছিল। শুরুতে মাহমুদুল হাসান কোনো রান না করে দলীয় ৩ রানে চেরাগ জানির শিকার হয়ে ফিরে যাওয়ার পর ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার ৫০ রান যোগ করে অবস্থা ভালো করে তুলেন। জুটি ভাঙে সৌম্য সরকার আউট হলে।
অনেক দিন পর নিজের চেনা রূপে ফেরা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সৌম্য। ২৬ বলে ৮ চারে ৪১ রান করে সোহাগ গাজীর বলে ইরফান শুক্কুরের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। এরপর শুরু হয় মাশরাফির ভেল্কি। ইমরুল কায়েসকে বোল্ড করে দিয়ে শুরু। ১১ রান করে ইমরুল। মাশরাফির ভেলকিতে পরে আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অংকের রান করতে পারেননি। মাশরাফি একে একে শিকার করেন অনুষ্টুপ (৭), শুভাগত হোম (৩), এনামুল হক জুনিয়র (০) ও সৈয়দ খালেদ আহমদে (৪)। অপরদিকে, নাঈম ইসলাম ফিরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ (২) ও আরিফুল হককে (৪)। চেরাগ জানি মাহমুদুল ইসলাম ছাড়াও শিকার করেন কামরুল ইসলামকে (৬)। ফলে ২২.৪ ওভারে ৮০ রানে অলআউট হয় মোহামেডান।
মাশরাফি ৮.৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। হন ম্যাচ সেরা। নাঈম ইসলাম ১৩ রানে ও চেরাগ জানি ২০ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও পারভেজ হোসেন ইমন মারমুখি ব্যাটিং করে ৩৪ মিনিটে মাত্র ৮.২ ওভারে দলকে জয় এনে দেন। পারভেজ ২১ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৪৪ ও মুনিম ২৯ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এমপি/আরএ/