ফ্ল্যাট উইকেট, হাথুরু চেয়েছিলেন ঘাস
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলা হয় ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এখন পর্যন্ত যে ২১টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে তার বেশির ভাগ খেলাই হয়েছে ২০১৪ সালে। সংখ্যায় ১৭টি।
এরপর ২০১৯ সালে হয়েছে ৩টি। ২টি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ১টি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই মাঠে সর্বশেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছর মার্চ মাসে ইংল্যোন্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে।
চট্টগ্রামের এই মাঠকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য রান প্রসবাই বলা যায়। সর্বোচ্চ রান এসেছে ১৯৬। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেট হারিয়ে এই রান করেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই রান তাড়া করে ইংল্যান্ড ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। হার মেনেছিল মাত্র ৩ রানে। একই আসরে শ্রীলঙ্কা করা ৪ উইকেটে ১৮৯ রান আবার ইংল্যান্ড পাড়ি দিয়েছিল ৪ উইকেট হারিয় ১৯.২ ওভারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেটে ১৭০ রান অতিক্রম করতে গিয়ে নিউ জিল্যান্ড ৮ উইকেটে ১৬৮ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। এই মাঠেই আগামীকাল (৩১ মার্চ) শুরু হবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। রান প্রসবা সিরিজই দেখছেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। উইকেট ফ্লাট। ঘাস নেই। এমনটিই জানিয়েছেন চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে। ফ্লাট উইকেট মানেই রান বন্যা। কিন্তু এমন উইকেট দেখে তিনি খুশি হতে পারেননি। তার চাওয়া ছিল ঘাসও থাকবে।
তিনি বলেন, ‘উইকেটে দেখেছি। মনে হয়েছে ফ্লাট। আমরা চেয়েছিলাম কিছু ঘাসও থাকবে। আমাদের চাওয়া মতো উইকেট পাইনি।’
নিজেদের চাওয়া মতো উইকেট না পাওয়ার কারণও তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক খেলা হয়। এই কারণে ঘাস পাওয়া যায়নি। আশা করছি ট্রু উইকেট হবে। খুব বেশি গতি থাকবে বলে মনে হচ্ছে না।’ তার মানে টস জিতলে ব্যাটিং বেছে নিতে মোটেই বিলম্ব করবেন অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি রানের খেলা। কিন্তু সব সময় যে রান হবে তা কিন্তু নয়। ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হতেই পারেন। সে জন্য কোচের চাওয়া বোলারদের কাছে কিছু রান। তবে এ জন্য নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পানও নেই কোচের।
তিনি বলেন, ‘আমরা দ্রুত উইকেট হারাতে পারি। তখন বোলারদের ব্যাটিং আমাদের প্রয়োজন হবে। তাদের ব্যাটিং নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই। তাই তাদেরকে সব সময় প্রস্তুত রাখা হয়। যদি প্রয়োজন হয় তারা যেন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিছু রান করে দিয়ে আসতে পারে।’
এমপি/এমএমএ/