আইপিএল নয়, সবার আগে দেশের হয়ে খেলা: হাথুরুসিংহে
আইপিএল এলেই ভারত ব্যতীত বিশ্ব ক্রিকেট উত্তাল হয়ে পড়ে। জাতীয় দলে খেলা, না খেলা নিয়ে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আইপিএলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের একটা মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশেও কম হয় না। এক সাকিব আল হাসানকে নিয়েই বিশাল এক সমস্যা তৈরি হয়।
এবারও বাংলাদেশে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তবে সমস্যায় এসেছে পরিবর্তন। এবার বিসিবির আইপিএলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর মনোভাব পোষণ করায় আইপিলের অনেকেই বিরক্ত হয়েছেন। গুঞ্জন উঠেছে আগামীতে আইপিএলে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারকে রাখা নাও হতে পারে।
টাইগারদের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে মনে করেন খেলোয়াড়দের আগে জাতীয় দলকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত, খেলা উচিত, তারপর আইপিএল। আজ তিনি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজের এই মনোভাব ব্যক্ত করেন।
এবারের আইপিএলে সাকিব ও লিটন খেলবেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। তারা শুরু থেকে আইপিএল খেলার জন্য বিসিবির কাছে ছাড়পত্র চেয়েছিলে। এ বিষয়টি হাথুরুসিংহে নজরে আনলে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে মোস্তাফিজের নামও তো আছে তাই না। খেলোয়াড় তিনজন। বোর্ড মনে করেছে খেলোয়াড়দের দেশের হয়ে খেলতে হবে। এটা আইপিএলের নিলামের সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তারা খেলতে পারবে।’
বিসিবি এবারের আইপিএলে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটারকে ছাড়পত্র দিয়েছে জাতীয় দলকে গুরুত্ব দিয়ে, যেটা আগে কখনো দেখা যায়নি। মোস্তাফিজ টেস্ট ম্যাচে না খেলাতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১ মার্চ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পর আইপিএলে যেতে পারবেন। সাকিব -লিটন যাবেন ৮ এপ্রিল টেস্ট শেষ হওয়ার পর। এরপর আবার তাদের ফিরে আসতে হবে মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডে সিরিজ খেলার জন্য।
আইপিএলের জনপ্রিয়তা ও গুরুত্ব এত বেশি যে প্রতিবছর এই আসর খেলার জন্য ক্রিকেটাররা মুখিয়ে থাকেন। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া ছাড়াও খেলার দিক দিয়েও অনেক উন্নতি হয়ে থাকে ক্রিকেটারদের। আইপিএল খেললে ক্রিকেটাররা উপকৃত হতেন কিনা হাথুরুসিংহে কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আইপিএল খেললে স্কিলের অনেক উন্নতি হবে তাদের। কারণ আইপিএল অনেক মানের টুর্নামেন্ট। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে সবার আগে দেশের খেলা’।
এমপি/আরএ/