৬ হাফ সেঞ্চুরির ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের জয়
হাই স্কোরিং ম্যাচে জয় পেয়েছে নবাগত অগ্রণী ব্যাংক। তারা ১৮ রানে হারিয়েছে সিটি ক্লাবকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অগ্রণী ব্যাংক ৮ উইকেটে করে ২৯১ রান। জবাব দিতে নেমে সিটি ক্লাব ৯ উইকেটে ২৭৩ রান করে। ৪ ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের এটি ছিল দ্বিতীয় জয়। সমান ম্যাচে সিটি ক্লাবের এটি ছিল টানা চতুর্থ হার।
বিকেএসপির ৪ নম্বার মাঠে টস হেরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটসম্যানরা তার পুরো সদ্বব্যবহার করেন। ওপেনার ম্যাচ সেরা আজমির আহমেদ করেন সর্বোচ্চ ৮৯ রান। এ ছাড়া, অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ৬২ ও আজিম নাজির কাজি ৬৬ রান করেন।
অগ্রণী ব্যাংকের শুরুটা ছিল খুবই বাজে। ৩৩ রানে হারিয়েছিল সাদমান ইসলাম (৫) ও মোহাম্মদ ইলিয়াস সানির (২) উইকেট। কিন্তু বিপদ যা ছিল এখানেই শেষ হয়ে যায়। এরপর শুধুই অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটসম্যানদের দিন ছিল। ওপেনার আজমির চারে নামা শামসুল ইসলাম অনিককে নিয়ে ৮৯ রান যোগ করেন ১৪ ওভারে। জুটিতে যে ৮৯ রান আসে সেখানে অনিকের অবদান ছিল মাত্র ৯ রানের।
অনিক এসে যখন আজমিরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন, তখন আজমিরের রান ছিল ১৯। আসিফের বলে ছক্কা মেরে আজমির যখন ৫৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, তখন অনিকের রান ছিল মাত্র ৪। এমনকি আজমির যখন ৮৯ রানে আউট হন, তখন অনিকের রান মাত্র ৯। আজমির ৯২ বলে ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ৯২ বলে ৮৯ রান করে আউট হন আসিফের বলে সাইফুলের হাতে ধরা পড়ে। দলীয় ১৩৬ রানে অনিক ১৬ রান করে আউট হওয়ার পর মার্শাল আইয়ুব ও আজিম নাজির কাজি ১৮.২ ওভারে গড়ে তুলেন ১০৬ রানের জুটি।মার্শাল ৫৭ বলে ৫ চারে ৬২ রান করে ও আজিম নাজির কাজি ৭৭ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৬ রান করে রবিউল হকের শিকার হন। রবিউল হক ৬৩ রানে ৪টি ও তৌফিক আহমেদ ৫৭ রানে নেন ৩টি উইকেট।
বড় টার্গেটের পেছনে ছুটে সিটি ক্লাব ওপেনার তৌফিক খান তুষার (৫৯), শাহরিয়ার কমল (৫১) ও রাফসান আল মাহমুদের (৫৩) হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের পথেই ছিল। কিন্তু তারপরও তারা জিততে পারেননি শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরা তাল হারিয়ে ফেললে।
দলীয় ৭ রানে ওপেনার আব্দুল্লাহ আল মামুন ১ রান করে আউট হওয়ার পর তৌফিক-শাহরিয়ার-রাফসান মিলে সিটি ক্লাবের অবস্থান মজবুত করে তুলেন। প্রথমে তৌফিক ও শহারিয়ার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯২ রান যোগ করেন ১৫.৪ ওভারে। ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৬ বলে ৫৯ রান করে জাহিদ জাভেদের বলে শরিফউল্লাহর হাতে ধরা পড়ে তৌফিক আউট হওয়ার পর শাহরিয়ার কমল ও রাফসানও হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। শাহরিয়ার-রাফসান জুটি খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। জুটিতে ৩৮ রান আসার পর শাহরিয়ার ৬৮ বলে ৭ চারে ৫১ রান করে শরিফউল্লাহর বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন।
শাহরিয়ার আউট হওয়ার পর রাফসানও আসিফ চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৪ ওভারে ৭৫ রান যোগ করে দলকে জয়ের পথেই রাখেন। কিন্তু এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর সিটি ক্লাব তাল হারিয়ে ফেলে। রাফসান ৭৩ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৫৩ রান করে শরিফউল্লাহর বলে আজমিরে হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেওয়ার সময় সিটি ক্লাবের রান ছিল ৪ উইকেটে ৩৯.৪ ওভারে ২১২ রান। এ সময় সিটি ক্লাবের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০.২ ওভারে (৬২ বলে) ৬ উইকেটে ৮০ রানের। কিন্তু আসিফ ৪৫ বলে ৫ চারে ৪৬ রান করে আরাফাত সানির বলে এলবিডব্লিউ আউট হওয়ার পর সিটি ক্লাবের পরের ব্যাটসম্যানরা আর দলের প্রয়েোজন মেটাতে পারেনি। ফলে সিটি ক্লাব ৯ উইকেটে ২৭৩ রান করে হার মানে ১৮ রানে। শরিফউল্লাহ ৩৫ রানে নেন ৩ উইকেট। এনামুল হক ২ উইকেট নেন ৪৫ রানে।
এমপি/এমএমএ/